ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার সাক্ষ্য পেছাল

ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে এক আসামি হাই কোর্টে যাওয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পিছিয়ে গেছে।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2015, 10:10 AM
Updated : 21 April 2015, 10:10 AM

ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. রুহুল আমীন মঙ্গলবার মামলার শুনানির দিনে সাক্ষ্য না শুনে আগামী ১১ মে নতুন তারিখ ঠিক করে দেন।

মামলার বাদী ও ব্লগার রাজীবের বাবা ডা. নাজিম উদ্দিন এদিন সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলন শুরুর দশম দিনে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পল্লবীতে নিজের বাসার সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রাজীবকে। ধর্মীয় উগ্রবাদীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে।

গত ১৮ মার্চ আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এ মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করে আদালত। এরপর অভিযোগ গঠনের আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে যান মামলার অন্যতম আসামি মাকসুদুল হাসান অনিকের আইনজীবীরা।

উচ্চ আদালতে সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি জানিয়ে অনিকের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার মঙ্গলবার সাক্ষ্য শুরুর আগে বিচারিক আদালতের কাছে সময়ের আবেদন করেন।

অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাইফুল ইসলাম হেলাল এবং বাদীর আইনজীবী শাহ ইলিয়াস রতন সময়ের আবেদনের বিরোধিতা করেন।

রাজিবের বাবা নাজিম বলেন, “আমি পর পর তিনদিন প্রস্তুতি নিয়ে এজলাসে আসলাম। আমার সময়ের দাম কে দেবে? আমার ছেলেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এখন আমার সময়ও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।”

সব পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক বলেন, “আজকের মতো (সময়ের আবেদন) অনুমোদন করলাম। কিন্তু দ্বিতীয় তারিখে আর বিলম্ব করব না। হাই কোর্টের কোনো আদেশ না আনতে পারলে অবশ্যই সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে। কোনো আবেদন নিবেদনে কাজ হবে না।”

আদালত জানায়, মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য শিগগিরই স্পর্শকাতর মামলা হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হবে। তখন সাত দিন পর পর এ মামলার তারিখ পড়বে।

কারাগারে থাকা সাত আসামির সবাইকে এদিন শুনানির জন্য আদালতে হাজির করা হয়। এরা হলেন- নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত ছাত্র সাদমান ইয়াছির মাহমুদ, ফয়সাল বিন নাঈম দীপ, এহসান রেজা রুম্মান, মাকসুদুল হাসান অনিক, নাঈম ইরাদ,  নাফিজ ইমতিয়াজ এবং আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান মুফতি মো. জসীমউদ্দিন রাহমানী।

মামলার প্রধান আসামি রেদোয়ানুল আজাদ রানা শুরু থেকেই পলাতক। 

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতে আসামিদের সঙ্গে দেখা করার এবং পরিবারের দেওয়া খাবার সরবরাহের আবেদন করলে বিচারক তা অনুমোদন করেন।