মঙ্গলবার এ হামলায় আহত শহিদুল ইসলাম গাজীপুর সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক। তিনি আমতলীর চালিতাবুনিয়া গ্রামের আবদুল খালেক হাওলাদারের ছেলে।
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আমতলী থানার ওসি সুকুমার রায় জানান, বাড়ি থেকে আমতলী আসার পথে বেলা ১০টার দিকে চাওড়া ইউনিয়নের বঁশতলা এলাকায় তার উপর হামলা চালানো হয়।
“হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার বাম হাত ও বাম পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।”
জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে তাকে কোপানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওসি সুকুমার রায় আরও জানান, এ ঘটনায় চালিতাবুনিয়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম, বাহাদুর, ইয়াকুব, কাওসার ও মাহাতাব নামের পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক বিভাগের চিকিৎসক মো. মনিরুজ্জামান জানান, শহিদুল ইসলামের বাম হাতের কব্জি এবং বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
এছাড়া তার ডান হাত-পাও জখম হয়েছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠাতে তার স্বজনদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডা. মনিরুজ্জামান।