বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার সময়ের আবেদনের শুনানি করে জামিন আবেদন শোনার জন্য ২৭ এপ্রিল দিন রেখেছে।
এর পরদিন, অর্থাৎ আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
আদেশের পর আব্বাসের আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এর আগে দুই মামলায় জামিনের আবেদনে হাই কোর্ট বিভক্ত আদেশ দিয়েছে। এখনও বিষয়টি তৃতীয় বেঞ্চে যায়নি। সেখানে গেলে আবেদনের ফল কী হবে আমরা জানি না।
“এই যুক্তিতে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে। আদালত তা মঞ্জুর করেছে।”
সময়ের আবেদনের শুনানিতে দুদকের পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হলেও মামলা মাথায় নিয়ে গত তিন মাস আত্মগোপনে ছিলেন বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস। দীর্ঘদিন পর গত ১৩ এপ্রিল তিন মামলায় জামিন চাইতে তিনি প্রকাশ্যে আসেন।
এর মধ্যে পল্টন ও মতিঝিল থানার মামলা দুটি পুলিশ করেছে নাশকতার অভিযোগে। আর প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে শাহবাগ থানায় করা দুদকের মামলায় আব্বাসের নাম না থাকলেও ‘গ্রেপ্তারের আশঙ্কায়’ তিনি আগাম জামিন চেয়েছেন।
হাই কোর্টে দুদকের মামলা শোনার জন্য নির্ধারিত বেঞ্চ থাকায় বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ দুদকের মামলার বিষয়টি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়। আর নাশকতার দুই মামলায় জামিন প্রশ্নে ১৫ এপ্রিল বিভক্ত আদেশ আসে।
ওই আদেশের পর দুদকের মামলা শোনার জন্য বেঞ্চ ঠিক করে দিতে প্রধান বিচারপতির কাছে যান আব্বাসের আইনজীবীরা। তবে পরদিন নির্ধারিত বেঞ্চেই শুনানির জন্য বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। আদালত বিষয়টি ২১ এপ্রিলের কার্যতালিকায় রাখতে বলে।
সে অনুযায়ী মঙ্গলবার বিষয়টি শুনানির জন্য উঠলে আব্বাসের আইনজীবীরা সময়ের আবেদন করেন।
আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “আব্বাসের আইনজীবীদের সময় আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছে। ওইদিন আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।”