নিহত মিলন আলী ওরফে ডাটা মিলন (৩২) মিরপুরের ধুবইল ইউনিয়নের লহ্মীধড়দিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এদিকে তিন দিন আগে মিলনকে পুলিশ আটক করেছিল বলে দাবি করছে নিহতের পরিবার।
মিরপুর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে বারুইপাড়া ইউনিয়নের চুনিয়াপাড়া মাঠে কুষ্টিয়া-মিরপুর সড়কের পাশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনি নিহত হন।
নিহতের বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় হত্যা ও অস্ত্র আইনে তিনটিসহ পাশের থানাগুলোতেও একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি জালাল।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গভীর রাতে চুনিয়াপাড়া মাঠের কাছে রাস্তার ওপর গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতি চলার খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ।
“এ সময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এক পর্যায়ে ডাকাতদলের সদস্যরা পালিয়ে যায়।
“পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মিলনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
ঘটনাস্থল থেকে গাছ কাটার একটি করাত, তিনটি রাম দা ও একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘বন্দুকযুদ্ধের’ সময় এসআই শহীদুল ও কনস্টেবল মাইনুল ইসলাম আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নিহত মিলনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (২৪) এবং বোন ফেরদৌস আরা অভিযোগ করেন, গত শনিবার (১৮ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে গ্রামের আলিম শাহর মাজারে ওরশ হচ্ছিল। সেখান থেকে মিরপুর থানার এসআই হালিম ও এএসআই আতিক সাদা পোশাকে এসে মিলনকে ধরে নিয়ে যান।
পরদিন সকালে মিরপুর থানায় গিয়ে খোঁজ জানতে চাইলে পুলিশ মিলনের কোনো খোঁজ জানে না বলে জানায়, বলেন তারা।
ধুবইল ইউনিয়ন পরিষদের ১নম্বর ওয়র্ডের লক্ষ্মীধড়দিয়া গ্রামের ইউপি সদস্য ও মাজারের আলিম শাহর ভাই সেলিম উদ্দিন জানান, প্রতি বছরের মতো শনিবার আলিম শাহ’র দরগায় ওরশ হচ্ছিল।
“ওইদিন রাত ১১টার দিকে হৈচৈ শুনে এগিয়ে গিয়ে জানতে পারি মিরপুর থানার এস আই হালিম ও এএসআই আতিক মিলনকে ধরে নিয়ে গেছেন,” বলেন তিনি।
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার এস আই হালিম জানান, “আমিও শুনেছি লক্ষ্মীধড়দিয়া গ্রামের মিলনকে আমার নাম করে কে বা কাহারা ধরে নিয়ে গেছে। মিলনের পরিবারের লোকও থানায় এসে জানতে চেয়েছিল, কিন্তু ওইদিন আমি বা এএসআই আতিক ওই এলাকায়ই যাইনি।”