আফ্রিকার দেশটিতে অভিবাসীদের ওপর হামলার ঘটনায় বাংলাদেশিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন।
রয়টার্স জানায়, রাজধানী জোহানেসবার্গে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি প্রাণ ভয়ে লুকিয়ে আছে।
গত তিন সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকাজুড়ে অভিবাসীদের ওপর বিভিন্ন হামলায় অন্তত ছয় জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
এদের একজন শামীন মুহাম্মদ। জোহানেসবার্গে তার একটি ছোট দোকান ছিল। এ সপ্তাহে প্রায় পঁচিশ জনের একটি দল তার দোকানে লুটপাট চালায় এবং সবকিছু নিয়ে যায়।
টেলিফোনে শামীন রয়টার্সকে বলেন, “আমি ভেবেছিলাম এ দেশে (দক্ষিণ আফ্রিকায়) এসে আমি ভালো কিছু করতে পারব। অথচ এখন আমি জোহানেসবার্গে একটি কক্ষে লুকিয়ে আছি, যেখানে আমার মত আর ৩০ জন বাংলাদেশি লুকিয়ে আছেন।
“আমাদের কাছে কোন খাবার নেই। যদি কোন কারণে বাইরে যাই তখন আমি প্রচণ্ড আতঙ্কের মধ্যে থাকি।”
দক্ষিণ আফ্রিকায় বিপদে পড়া বাংলাদেশিদের রক্ষায় হেলপ লাইন চালুর কথা সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় অভিবাসীবিরোধী তৎপরতায় বাংলাদেশিদের ৪/৫টি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বেশি কিছু মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ইতোমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। তারা বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।
ভূমধ্য সাগরে নৌকাডুবি
ইউরোপমুখী কয়েকশ আরোহী নিয়ে লিবিয়া আর ইতালির মাঝে ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া নৌযানে বাংলাদেশি নাগরিকও ছিলেন বলে গণমাধ্যমে যে খবর বেরিয়েছে তার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দুর্ঘটনার শিকার ওই নৌযানে থাকা এক বাংলাদেশি সিসিলিয়া কাটালিনায় একটা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন। তবে ওই ব্যক্তি নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে চাচ্ছেন না।
বিবিসি, সিএনএনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে একজন বাংলাদেশির কথা বলা হয়েছে, যাকে আরও কয়েকজনের সঙ্গে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধার করে ইতালির উদ্ধারকর্মীরা।