ইউএনডিপির ‘তারুণ্যের মুখোমুখি’তেও নেই নাছির-মনজুর

চট্টগ্রামে তরুণ ভোটারদের ‘মুখোমুখি’ হওয়ার অনুষ্ঠানেও হাজির হলেন না সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন ও মনজুর আলম।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2015, 12:34 PM
Updated : 20 April 2015, 12:34 PM

সোমবার নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউটে তরুণ ভোটারদের সঙ্গে মেয়র প্রার্থীদের মুখোমুখি করতে “তারুণ্যের ভাবনায় চট্টগ্রাম” শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউএনডিপি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় এ দুই প্রার্থীকে ছাড়াই অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল দশটার পর।

রোববার টিআইবি-সুজন আয়োজিত মেয়রপ্রার্থীদের নিয়ে জনগণের মুখোমুখি অনুষ্ঠানেও যাননি মনজুর আলম ও নাছির উদ্দিন।

চট্টগ্রামে নাছির-মনজুরসহ ১২জন মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইউএনডিপির অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাত মেয়র প্রার্থী নগরীর বিনোদন কেন্দ্র, স্বাস্থ্য, সেনিটেশন, জলাবদ্ধতা, তথ্য-প্রযুক্তি ও গণপরিবহন সংকটসহ নানা বিষয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানান।  

মেয়র প্রার্থীরা উপস্থিত তরুণদের জন্য নানা প্রতিশ্রুতিও দেন, তাদের নানা প্রশ্নের জবাবও দেন তারা।

অনুষ্ঠানে জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ বলেন, “মেয়র নির্বাচিত হলে সৃষ্টিশীল তরুণদের নিয়ে আধুনিক নগরী হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তুলব।”

আরেক মেয়র প্রার্থী সাইফুল আলম রবি নির্ধারিত তিন মিনিটের বক্তব্যে বলেন, যারা প্রকৃতপক্ষে মেয়র নির্বাচিত হবেন তাদের কেউ এখানে আসেননি।

‘তাদের ছাড়া এ ধরনের অনুষ্ঠান এক অর্থে অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করলে তার প্রতিবাদ জানান উপস্থিত অন্য মেয়র প্রার্থীরা।

অনুষ্ঠানের স্বতঃস্ফূর্ত প্রশ্ন-উত্তর পর্বে মেয়র প্রার্থীদের জন্য তরুণ ভোটারদের কাছ থেকে প্রশ্ন চাওয়ার নাম করে ‘পরিকল্পিতভাবে’ প্রশ্ন নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ।

অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া বেসরকারি প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর শিক্ষার্থী সাঈদ সবুজ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অনুষ্ঠানে অনেক মেয়র প্রার্থীর অবাস্তব প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন করতে স্বেচ্ছাসেবকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি আমার পাশে বসা একজনকে মাইক্রোফোন দেন।

“লোকটি পরে বলেন একদিন আগেই ওনাকে প্রশ্নটা দেওয়া হয়েছে। নিজেকে ইপসা’র একজন কর্মী বলে পরিচয় দেন তিনি।”

সাঈদ বলেন, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১২ জনের দল অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে। তাদের কেউই প্রশ্ন করার সুযোগ পাননি।

চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদ পারভেজও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কাছে একই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, “প্রশ্ন করার জন্য বার বার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও স্বেচ্ছাসেবকরা তাদের নির্দিষ্ট মানুষের কাছে মাইক্রোফোন দিয়েছেন।”

তাদের নিজেদের করা সুবিধাজনক প্রশ্ন তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রশ্ন হিসেবে চালিয়ে দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আরো অনেকেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন।

মূল দুই প্রার্থী উপস্থিত না থাকা প্রসঙ্গে রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, যে প্রার্থীরা আজকে অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি তারা একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান মিস করেছেন।

স্বতঃস্ফূর্ত প্রশ্ন, প্রশ্নোত্তর পর্ব ও মেয়র প্রার্থীদের জন্য তিন মিনিটের রাউন্ডসহ নানা পর্বে বিভক্ত অনুষ্ঠানটি শেষ হয় দুপুর ১২ টার দিকে।

অনুষ্ঠানে অংশ নেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী এম এ মতিন, ইসলামীক ফ্রন্টের মুজিবুল হক শুক্কুর, গাজী আলাউদ্দিন চৌধুরী, সাইফুল আলম রবি, সৈয়দ সাজ্জাদ জোহা, শফিউল আলম ও ওয়ায়েজ হোসেন ভূঁইঞা।