সাভারে পুলিশের উপর হামলা, অস্ত্র ভাংচুর

ঢাকার সাভারে টহল পুলিশের উপর এলাকাবাসীর হামলায় চার ‍পুলিশ আহত হয়েছে। এ সময় ভাংচুর করা হয়েছে পুলিশের রাইফেল।

সাভার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2015, 12:20 PM
Updated : 20 April 2015, 12:20 PM

রোববার রাতে উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের মোগড়াকান্দা গ্রামে এ ঘটনায় আহদের মধ্যে ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত কনস্টেবল বিল্লালকে গুরুতর অবস্থায় সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আর রেজাউল, রাজীব ও মিন্টুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাতেই ভাকুর্তা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ ব্যাপারী, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ একাংশের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাইদুল, কামাল ও আবুলকে আটক করা হয়। তবে সোমবার দুপুরে শহিদুল্লাহকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুপক্ষের কাছ থেকে।

ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) জি এম সালাহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে মোগড়াকান্দা এলাকার লোকজন একটি ট্রাক আটকিয়ে চালক ও তার সহকারীকে মারধর করছে এমন সংবাদ পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

“তখন এলাকাবাসীর সঙ্গে পুলিশের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুলিশকে মারধর করে রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় তারা একটি রাইফেল ভেঙ্গে দুটুকরো করে ফেলে।”

খবর পেয়ে রাতেই সাভার মডেল থানা পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে বলে জানান তিনি।

আটক জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ীক দ্বন্দ্বের কারণে মোগড়াকান্দা এলাকায় প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা কাটাকাটির সময় পুলিশ অতর্কিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়। কারণ জানতে চাইলে পুলিশ সদস্যরা রাইফেল দিয়ে বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে।

এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকার ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার খোয়া গেছে বলে দাবি করেন তিনি।

ভাকুর্তা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আটককৃতরা সবাই আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল্লাহ ব্যাপারীর পক্ষের নেতা-কর্মী।

ঢাকা জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল শেখ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ ব্যাপারীকে আটক নয়, ঘটনার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছিল বলে জানান এএসপি রাসেল।