রোববার মধ্যরাতে সিলেট সড়কের বড়হাট এলাকায় ওই ঘটনায় সাত জনকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে, যারা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি আব্দুস ছালেক জানান, গোলাগুলিতে তিনি ছাড়াও আরও তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এরা হলেন-মডেল থানার এসআই আবুল হাসেম, কনস্টেবল জিয়াউর রহমান ও শংকর। সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আটকরা হলেন- শ্রীমঙ্গলের সুরমা ভ্যালির জামির হোসেন মুন্না (২২), জানাউড়া গ্রামের জিলু মিয়া (৩০), সাকির মিয়া (২৪), লামুয়া গ্রামের ইকবাল হোসেন জসিম (২৪), কুলাউড়ার চাঁনগাঁও গ্রামের ফারুক মিয়া ও মুকুল মিয়া (২৬) এবং কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার শাহাদত হোসেন (২০)।
এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ইকবালকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যরা আটকের সময় গ্রামবাসীর পিটুনিতে আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আটক সাত জনের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।
ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, ছয়টি দা, একটি চাপাতি, দুটি পিন কাটার, একটি বড় গ্রিল কাটার, দুটি ছোরা ও কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তা ছালেক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বড়হাট এলাকায় একটি বাড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে খবর পেয়ে পুলিশের চারটি দল সেখানে যায়।
এ সময় ডাকাত দল রাস্তার পাশের একটি সিএনজি পাম্প থেকে তাদের ব্যবহৃত গাড়িতে গ্যাস নিতে ঢুকলে পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে।
তখন পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি করে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে চার পুলিশ ও ডাকাত দলের দুই সদস্য আহত হন।
এক পর্যায়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ সাত ডাকাতকে আটক করে বলে জানান তিনি।