রোববার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শামস উল আরেফিন এ আদেশ দেন।
এর আগে বন বিভাগের প্রধান কার্যালয়ের বন সংরক্ষক রেজাউল করিম শিকদার ও রাঙামাটির অশ্রেণিভুক্ত বনাঞ্চলের (ইউএসএফ) সহকারী বন সংরক্ষক সাইফুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন।
২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ওই দুই বন কর্মকর্তাসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদক চট্টগ্রাম -২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন রাঙামাটি কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে তৎকালীন (২০০৬ সালে) রাঙামাটি বনবিভাগের চার কর্মকর্তা জেলার ১১৪ নম্বর বালুখালী মৌজার হোল্ডিং নম্বর ৪৫ এর ছয় একর জোত ভূমির বিপরীতে জোত পারমিটের মাধ্যমে সরকারি বনাঞ্চল থেকে ৯৯ হাজার ২০০ শত ঘনফুট সেগুন কাঠ কেটে করে পাচার করেন।
মামলায় আরও অভিযোগ আনা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে তারা ১৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্নসাত করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এতে রেজাউল করিম ও সাইফুল ইসলামকে অভিযুক্ত করা হয়।
অপর দুই আসামির মধ্যে একজনের মৃত্যু হওয়ায় এবং অন্যজনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের সুপারিশ করা হয় অভিযোগপত্রে।