ট্রাকে চড়ে শুধু মূল সড়ক ধরে প্রচারণা মনজুরের

অলি-গলির বদলে মূল সড়ক ধরে নিজের প্রচারণা সীমাবদ্ধ রাখলেন বিএনপি সমর্থিত উন্নয়ন আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী এম মনজুর আলম।

উত্তম সেন গুপ্তবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2015, 03:48 PM
Updated : 19 April 2015, 03:48 PM

রোববার সারাদিন নগরীর মুরাদপুর, শুলকবহর, বহদ্দারহাট এলাকায় গণসংযোগকালে তার সঙ্গে থেকে তা-ই দেখা গেছে।

বেলা সোয়া ১১টায় পাঁচলাইশ থানা মোড়ে পথসভায় বক্তব্য দিয়ে শুলকবহর এলাকায় গণসংযোগে যান মনজুর।

শুরুতে তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান। পথে যোগ দেন পটিয়ার সাবেক সাংসদ ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল।  

ট্রাকে চড়ে মনজুর আলম মীর্জাপুল আব্দুল হামিদ সড়ক, আব্দুল লতিফ সড়ক, হামদুমিয়া সড়ক, মুন্সিপুকুর পাড় হয়ে বাদুরতলা আরাকান সড়কে উঠেন। সেখান থেকে বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা, ষোলশহর হয়ে ফরেস্ট এলাকায় গিয়ে কমলালেবু প্রতীকে ভোট চান।

সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা ও পথসভা করলেও এসব সড়কের অলিগলিতে ঢোকেননি মনজুর। ট্রাক থেকেও নামেননি তিনি।

শুধু বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মুরাদপুর এলাকায় ট্রাক থেকে নেমে প্রধান সড়কের পাশে মানুষের সঙ্গে হাত মেলাতে যান মনজুর। ১০ মিনিট হাঁটার পর হুড খোলা একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠে পড়েন সাবেক এই মেয়র।

শুলকবহর ওয়ার্ডে গণসংযোগের সময় মনজুরের সঙ্গে ছিলেন জামায়াত ইসলামী সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শামসুজ্জামান হেলালী, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবুল মনসুর, সংরক্ষিত আসনের প্রার্থী সায়মা হক ও মাহমুদা সুলতানা ঝর্ণা।

তবে নোমান কিংবা মনজুর কেউই কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য ভোট চাননি।

অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে ভোট প্রত্যাশা

ভোটের জন্য নগরীর এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ছূটে চলা সদ্য বিদায়ী মেয়র মনজুর আলম তার অসমাপ্ত কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য ভোট চাইছেন জনগণের কাছে।

সকালে শুলকবহর এলাকায় গণসংযোগের সময় তিনি বলেন, চট্টগ্রামে ৯০০ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। নতুন খাল খননসহ আরও কিছু কাজ বাকি আছে।

বহদ্দারহাট মোড়ে পাইলট কলোনি রাস্তার সামনে পথসভায় মনজুর বলেন, “এখানে সাংবাদিক ভাইরাও আছেন। আপনারা অনেক কিছু বলেন। এই চাক্তাই খালটিতে কাজ চলছে।

“আমি মীর্জা খালের সংস্কার করেছি। তাই এই এলাকায় পানি হয় না। নতুন একটি খালের জন্য ২৯০ কোটি টাকা চেয়েছি। টাকা ছাড় পেলে নতুন খাল করা হবে। এতে কোনো জলাবদ্ধতা হবে না।”

তবে এখন জোয়ারের পানির কারণে ‘জলজট’ হয় বলে দাবি করেন মনজুর।

সমস্যা সম্পর্কে ‘সচেতন’

মনজুর বলেন, “টানা ২২ বছর কাউন্সিলর ছিলাম। পাঁচবছর মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি শুধু আন্দরকিল্লা বসে অফিস করিনি।

“আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গেছি। সচেতন আছি বিভিন্ন ওয়ার্ডের সমস্যা নিয়ে। নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা সমাধান করব।”  

জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১২৩ কোটি এবং সরকারের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দের বিষয়ে সাবেক পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে মনজুর বলেন, “উনি কেন বলেছেন, জানি না। বন্দর থেকে নিয়মিত টাকা (কর) টাকা পেয়েছি। সরকারের ২৯৭ কোটি টাকা এখনও ছাড় হয়নি।”