রোববার বেলা ১১টায় বিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে তাদের আটক করা হয়। বিকাল ৫টার দিকে তাদের ছাড়া হয়।
তাদের আটক করার কারণ জিজ্ঞেস করায় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে।
তাদের কেন হাজতে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাদের কেন কাস্টডিতে রাখা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো জবাব দিতে তিনি বাধ্য নন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিমি জানান, ওই বাচ্চাদের তো কাস্টডিতে রাখার কথা নয়। কেন এদের কাস্টডিতে রাখা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক খন্দকার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, স্কুল চলাকালে কম্পাউন্ড থেকে ১১ জন ছাত্রকে পুলিশ আটক করেছে বা তাদের পুলিশ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে তা তিনি জানতেন না।
কিন্তু প্রধান শিক্ষকের কথাটি পুলিশ অস্বীকার করেছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার এস আই ওবাইদুর রহমান জানান, ওই ছেলেদের আটক করার সময় সেখানে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। তাদের থানা থেকে বাচ্চাদের নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল।
কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান জানান, স্কুলে ছাত্রদের অন্যান্য চিহ্নিত অপরাধীদের সঙ্গে পুলিশ কাস্টডিতে আটক করা হয়ে থাকলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও অভিভাবকদের উপর অবশ্যই দায় বর্তায়।
এধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সভাপতি জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন জানান, স্কুলগামী বাচ্চাদের আটক করে কাস্টডিতে রেখে আইনের ব্যত্যয় ঘটে থাকলে বিষয়টি দেখা হবে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সামস তানিন জানান, জাতিসংঘ শিশু সনদ, ১৯৭৪ সালের শিশু আইন সংশোধনী ২০১৩ অনুযায়ী আইনে শিশু-কিশোর বলতে যাদের বোঝাবে তাদের প্রয়োজনে সংশোধন কেন্দ্র বা সেভ কাস্টডি ব্যতিরেকে কোনোভাবেই পুলিশ কাস্টডি বা কারাগারে রাখা যাবে না।