নববর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারীর শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে রোববার দুপুরে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
“এই ঘটনার পর বাংলাদেশের কোনো মানুষ চুপচাপ নেই, সারা দেশের মানুষ গর্জে উঠেছে, এই কলঙ্ক মোচন করে আমরা একটা নতুন ইতিহাস রচনা করতে যাচ্ছি,” বলেন তিনি।
জাফর ইকবাল বলেন, ১৯৭১ সালে হানাদার বাহিনীর হামলায় পুরুষদের হত্যার পর দেশের মায়েরা প্রথম দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পারিবারে নেওয়া সেই দায়িত্ব মায়েরা এখনও যথাযথভাবে পালন করছেন। ফলে এখন বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে যাচ্ছে।
“আমরা নারীদের সম্মান করতে জানি,” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ছেলেমেয়ে পাশাপশি কাজ করতে পারলেই দেশের শক্তি বৃদ্ধি পাবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের ক্যাম্পাসকে এই দেশের একটা উদাহরণ করে দেখাতে চাই, যেখানে কোনো মেয়ে ইভটিজিংয়ের শিকার হবে না।”
মানববন্ধন শেষে ক্যাম্পাসে মৌন মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মুক্তমঞ্চে শেষ হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আমিনুল হক ভূইয়া, অধ্যাপক ইয়াসমিন হক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কবির হোসেন, অধ্যাপক আকতারুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ বদউজ্জামান ফারুক, জায়েদা শারমিন, ফারজানা সিদ্দিকা রনি প্রমুখ।
গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ফটকে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটে। এতে জড়িতদের এখনও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।