একই সঙ্গে আসামিদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ের আরও এক বছর করে কারাভোগ করতে হবে।
বরিশাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক দিলিপ কুমার ভৌমিক রোববার এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন পিরোজপুরের শেহাঙ্গল গ্রামের কামরুল ইসলাম খান ও মনিরুল ইসলাম সান্টু, কচুয়াকাঠী গ্রামের আল-আমিন সিকদার (রনি), পূর্ব আমড়াঝুড়ি গ্রামের মিজানুর রহমান জমাদ্দার (মিজান) ও রেজাউল তালুকদার, দাসেরকাঠী গ্রামের সোহরাব খান এবং বাসুরী গ্রামের আজিজুল হক খোকন।
রায় ঘোষনার সময় কামরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম ও রেজাউল তালুকদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় সাখাওয়াত হোসেন তুহিন, নাজমুল হক মুরাদ ও মোর্শেদ জমাদ্দার নামের তিন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ কে এম জাহাঙ্গীর জানান, ২০০৯ সালের ১১ অক্টোরব পিরোজপুর জজ আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন খান মাসুদ নিজ বাড়ি জেলার নেছারাবাদ শেহাঙ্গল গ্রাম থেকে প্রায় চার লাখ টাকা নিয়ে ঝালকাঠী যাচ্ছিলেন।
পথে কাউখালী আশ্রম সংলগ্ন বেইলি ব্রিজের কাছে পৌঁছলে তাকে গুলি করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় আসামিরা।
পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরদিন ১২ অক্টোবর কাউখালী থানায় একটি হত্যা হামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আল আমীন খান।
২০১১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ১০ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৩ সালের ২৬ অগাস্ট মামলাটি বরিশাল দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।