ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জে কালবৈশাখি ঝড়ে নিহত ৮

ময়মনসিংহ ও কিশোরগঞ্জের সাত উপজেলায় কালবৈশাখি ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে এবং বজ্রপাতে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিময়মনসিংহ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2015, 08:19 AM
Updated : 19 April 2015, 09:30 AM

শনিবার রাতে বয়ে যাওয়া এ ঝড়ে বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় পাঁচশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান।

কিশোরগঞ্জে নিহতদের মধ্যে পাকুন্দিয়া উপজেলায় একই সঙ্গে বাবা-ছেলে এবং কটিয়াদী, বাজিতপুর ও কুলিয়ারচর উপজেলায় একজন করে মারা গেছেন।

নিহতরা হলেন- পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নে হযরত আলী (৪৫) ও তার ছেলে রিজন (৮), কটিয়াদীর চর আলগী গ্রামে আব্দুল মান্নান (৪৫), বাজিতপুরে শিশু রিমা (১২) এবং কুলিয়ারচর উপজেলায় শীতল বর্মন (৩২) নামে এক অটোরিকশা আরোহী।

পাকুন্দিয়া পৌর মেয়র মো. জালালউদ্দিন জানান, রাতে ঝড়ের সময় জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের কাজিহাটি গ্রামে টিনের ঘরের চালে গাছ ভেঙে পড়লে হযরত আলী ও তার ছেলে রিজন মারা যান।

একইভাবে ঘরের চালে গাছ ভেঙে পড়ে কটিয়াদীর আব্দুল মান্নান মারা যান বলে কটিয়াদী পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন খান দিলীপ জানিয়েছেন।

এছাড়া বাজিতপুর উপজেলায় ঝড়ের মধ্যে আম কুড়ানোর সময় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে শিশু রিমার মৃত্যু হয়।

কুলিয়ারচরের ওসি চৌধুরী মিজানুউজ্জামান জানান, উপজেলার বিটিবাড়ি এলাকায় গাছচাপা পড়লে অটোরিকশাআরোহী শীতল বর্মনের মৃত্যু হয়।

একই সময়ে কালবৈশাখি ঝড়ে ময়মনসিংহে গাছচাপা পড়ে দুইজন ও বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫ জন।

জেলার ফুলবাড়িয়া, মুক্তাগাছা ও ত্রিশাল উপজেলায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ফুলবাড়িয়ার কৃষক আব্দুল করিম, মুক্তাগাছার জালাল উদ্দিন এবং ত্রিশালে ইলিয়াস আলী।

ফুলবাড়িয়া থানার ওসি রিফাত খান নাগিব জানান, রাধা কানাই বাজারে ঝড়ের মধ্যে দোকানের ওপর বটগাছ ভেঙে পড়লে আব্দুল করিম নামে এক কৃষক নিহত ও পাঁচজন আহত হন।

একই সময়ে মুক্তাগাছার সন্তোষপুরে গাছচাপায় জালালউদ্দিন ভুট্টো নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হন বলে মুক্তাগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন জানান।

অন্যদিকে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে ত্রিশালের বালিপাড়া গ্রামে ইলিয়াস আলী নামে আরেকজনের মৃত্যু হয় বলে ত্রিশালের ওসি মো. মনিরুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

পুলিশ জানায়, আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেলসহ স্থানীয় বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপপরিচালক অমিতাভ দাস জানান, শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা কালবৈশাখিতে বেশ কয়েকটি উপজেলায় ইরি ও উঠতি বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করা যায়নি।