শুক্রবার বিকালে এক দফা সংঘর্ষের পর রোববার সকালে আবার সংঘর্ষ শুরু হলে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে উপজেলার ইদিলপুর ইনিয়নের চকনদী গ্রামের পঁচা মাহমুদ কবিরাজের ছেলে আবু তালেব (৪৫) নিহত হন।
দুই দফা সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৩৫ জন বলে সাদুল্লাপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, ইদিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নূর মোহাম্মদের উদ্যোগে রাঘবেন্দ্রপুর গুচ্ছগ্রামে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বৈশাখী মেলায় জুয়ার আসর বসিয়েছিল ধাপেরহাট ইউনিয়নের তিলকপাড়া গ্রামের কয়েক কিশোর।
“ওইদিন বিকালে রাঘবেন্দ্রপুর গ্রামের কয়েক যুবক জুয়া খেলে টাকা খোয়ানোর পর আয়োজকদের মারপিট করেন। পরে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এতে উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন।”
সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
ওসি জিয়া জানান, আগের দিনের ঘটনার জেরে শনিবার সকালে তিলকপাড়ার মাদ্রাসায় ক্লাস করতে গিয়ে রাঘবেন্দ্রপুরের এক শিক্ষার্থী কয়েক যুবকের হাতে মারধরের শিকার হয়।
ধাপেরহাট তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করেন বলে জানান তিনি।
ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিপন জানান, মাদ্রাসাছাত্রকে মারধরের খবরে ইদিলপুর ইউনিয়নের রাঘবেন্দ্রপুর, কাঠাল লক্ষ্মীপুর ও চকনদী গ্রামের লোকজন লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রোববার সকালে তিলকপাড়া গ্রামে হামলা চালালে সংঘর্ষ বাঁধে।
সংর্ঘষের সময় লাঠির আঘাতে ঘটনাস্থলে আবু তালেব মারা যান বলে ঘটনাস্থল থেকে জানান ওসি জিয়া।
সকালের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।