শনিবার সংগঠনের এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এই অভিযোগ করেন।
নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত কয়েকটি বাংলা সংবাদপত্র, অনলাইন সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে জানান তারা।
নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যামাইকার একটি পার্টি হলে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক এম এ বাতেন এবং সঞ্চালন করেন সদস্য সচিব মশিউল আলম জগলু।
আলোচনায় অংশ নেন নূরনবী কমান্ডার, গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, এবি সিদ্দিক, শফিকুল ইসলাম, আলাউদ্দিন, ড. প্রদীপ রঞ্জন কর ও লাবলু আনসার।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মুর্শেদ খানের আসন্ন নিউ ইয়র্ক সফরের প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনার জন্য এই সভা ডাকা হলেও আলোচনায় প্রাধান্য পায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের ‘ষড়যন্ত্রের’ বিষয়টি।
আলোচকরা অভিযোগ করেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে বিপুল অর্থ ব্যয় করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এই বিচার প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে কিছু ভাড়াটে সাংবাদিক ও সংবাদপত্র জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর, বিশ্ব ব্যাংক, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মত সংস্থায় তৎপরতা চালাচ্ছে।
এই ধরনের অপপ্রচারের জন্য বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচার হচ্ছে। অর্থ বহনকারীদের মধ্যে গণমাধ্যমের লোকজন রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
ওয়ান ইলেভেনর পর যেভাবে রাজনীতিকদের চরিত্র হননের সংঘবদ্ধ চেষ্টা চলেছে, ঠিক একইভাবে মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুক্তিযোদ্ধারা।
তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সামাজিকভাবে হেয় করতে অপপ্রচারে নিউ ইয়র্কে বসবাসরত একাত্তরের আলবদর এবং রাজাকারদের সন্তানরাও তৎপর রয়েছে।
বিভিন্ন বাধা সত্ত্বেও একাত্তরের ঘাতকদের বিচার অব্যাহত রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান বক্তারা।