রাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে জামায়াত তোষণের অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানউদ্দিনের বিরুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াত-শিবির তোষণের অভিযোগ তুলেছে মহানগর আওয়ামী লীগ।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2015, 05:01 PM
Updated : 18 April 2015, 05:01 PM

শনিবার মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাহফুজুল আলম লোটন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

লিখিত বক্তব্যে তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান উপাচার্য যোগদানের পর বিএনপি-জামায়াতপন্থী ১০ শিক্ষকের স্বজনদের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন, যার মধ্যে চারজন ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।

এরা হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের জামায়াতপন্থী শিক্ষক রেজাউল করিমের শ্যালক, প্রাণিবিদ্যা বিভাগে জামায়াতপন্থী শিক্ষক সালাম ভূইয়ার ভাতিজা ও ইসলামি ছাত্র শিবিরের সাথী ফয়সাল জামান এবং সাবেক ছাত্র শিবির নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, ইংরেজি বিভাগে চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপাচার্যের নিজ গ্রামের সাবেক শিবির নেতা আসিউজ্জামান এবং উপাচার্যের ভাগ্নে সাবেক শিবির নেতা হাবিবুল্লাহকে ফোকলোর বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

এছাড়াও বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাবেক উপাচার্য ফাইসুল ইসলাম ফারুকীর ছেলে এ নাঈম ফারুকী ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে, বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাবেক উপাচার্য আলতাফ হোসেনের মেয়েকে ভূগোল বিভাগে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক সাফিউজ্জামানের (সাদা প্যানেলের সদস্য) স্ত্রী চৈতি অর্থনীতি বিভাগে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে তামজীদ হোসেন ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগে, বিএনপিপন্থী শিক্ষক শহিদুর রহমানের মেয়ে রিদা খাতুনকে দর্শন বিভাগে এবং বিএনপিপন্থী অপর এক শিক্ষকের স্ত্রী রাবেয়া বসরীকে অর্থনীতি বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগ দিয়েছেন বর্তমান উপাচার্য।

এছাড়া উপাচার্য আঞ্চলিকতার কারণে জামায়াতপন্থী শিক্ষককে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও তার ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু শিবিরের হামলায় ক্যাম্পাসে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শহীদ ফারুক হোসেনের বোনের চাকুরি স্থায়ী করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়।

এতে বলা হয়, গত ১৬ এপ্রিল বিএনপি ও জামায়াত-শিবির তোষণ, স্বজনপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্য, অনিয়ম-দুর্নীতি সম্পর্কে প্রতিবাদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফারুকের বোনের চাকুরি স্থায়ী করার দাবি জানাতে উপাচার্যের দপ্তরে গেলে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয়।

এসময় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক হাবিবুর রহমান মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেনকে লাঞ্ছিত করেন। কিন্তু উপাচার্য তার অনিয়ম-দুর্নীতি আড়াল করার জন্য গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন।

আগামী সাত দিনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে ক্ষমা না চাইলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।