উপাচার্য লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে রাবিতে বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনকে সরকার দলীয় এক সাংসদ দলবল নিয়ে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2015, 04:30 PM
Updated : 18 April 2015, 04:31 PM

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ পরিষদ ও সভাপতি পরিষদ পৃথক বিৃবতির মাধ্যমে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে।

শনিবার প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে শেষ হয়।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন সুজনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি সোহরাব হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আয়াতুল্লাহ খোমেনী, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারুক ইমন ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার ও ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার।

বক্তারা বলেন, দলীয় ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে বহিরাগতদের চাপপ্রয়োগ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের জন্য হুমকি।

সমাবেশ থেকে উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

এদিকে শনিবার দুপুরে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এস এম এক্রাম উল্যাহর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্য দপ্তরে যে সকল অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুর্ভাগ্যজনক।

“প্রাধ্যক্ষ পরিষদ মনে করে যে, এসব ঘটনা প্রচলিত বিধি-বিধান ও রীতিনীতির উপর অযাচিত হস্তক্ষেপ। এ সব ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গ উপাচার্যের প্রতি যথাযথ সম্মানজনক আচরণ করেননি।”

রাবি সভাপতি পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদের অপর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্যের দপ্তরের সংঘটিত ঘটনাকে ‘দুঃখজনক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত বিধি-বিধানের ওপর অযাচিত হস্তক্ষেপ’ বলে উল্লেখ করা হয়।

এদিকে দুপুরে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবির তোষণের অভিযোগ এনে সাত দিনের মধ্যে মহানগর নেতাদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার দাবি করা হয়।

গত ১৫ এপ্রিল রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী উপাচার্যের কার্যালয়ে ঢুকে তাকে লাঞ্ছিত করেন। পর দিন ১৬ এপ্রিল মহানগর  সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতারা উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিনসহ কয়েকজন শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।