উপজেলার শিশইল গ্রামের জালাল হোসেনের নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূকে শুক্রবার রাতে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইদ্রিস আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে জালাল স্ত্রীর কাছে ১০ হাজার টাকার যৌতুক দাবি করেন।
এতে রাজি না হওয়ায় ওই গৃহবধূকে রশি দিয়ে হাত-পা বেঁধে পেটায় জালাল। এক পর্যায়ে জলন্ত সিগারেট দিয়ে তার উরুসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেয়। পরে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় জালাল।
গৃহবধূ বাড়ি থেকে পালিয়ে তার চাচা শহিদুল ইসলাম ভুট্টোর বাড়িতে আশ্রয় নিলে তিনি রাত ১০টার দিকে তাকে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ইদ্রিস আলী আরও জানান, ২০০৪ সালে শিশইল গ্রামের কবির পেয়াদার ছেলে জালাল হোসেনের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়েতে তার বাবা এক লাখ ১০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়েছিলেন।
কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে জালাল আবারও যৌতুকের জন্য কয়েকবার তাকে নির্যাতন করে, যা নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়।
মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাদিয়া আফরিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই গৃহবধূর উরুসহ বিভিন্ন স্থানে আগুনের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছে এবং তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মান্দা থানার ওসি মোজাফফর হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গৃহবধূর শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন তিনি দেখেছেন। গৃহবধূ বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।