শনিবার দুপুরে বগুড়া সার্কিট হাউজে বিজিবির অস্থায়ী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, “বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীরা রাতের আঁধারে সীমান্ত পার হওয়ার কারণেই বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। অন্যায়ভাবে রাতের বেলা সীমান্ত পার না হলে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটবে না। এ কাজে তাদের নিরুৎসাহিত করলে এ ঘটনা কমতে পারে। ”
সীমান্তে বিএসএফের হত্যা প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল আজিজ বলেন, “দুপক্ষের প্রতিটি বৈঠকে হত্যাকাণ্ড বন্ধের জোর দাবি জানানো হয়। সীমান্তে মানুষ হত্যাকাণ্ড কখনোই কারও কাম্য নয়।”
ভারত থেকে ফেনসিডিল আমদানি কমেছে দাবি করে তিনি বলেন, সীমিতসংখ্যক জনবল নিয়েও সীমান্তের ওপার থেকে ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাচার ঠেকাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে বিজিবি।
চলতি বছরের শুরু থেকে বিএনপি-জামায়াত জোটের অবরোধ-হরতালে যানবাহনে পেট্রোল বোমাসহ নাশকতার ঘটনা বেড়ে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। এতে সীমান্তে প্রহরা শিথিল হয়ে পড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।
এ বিষয়ে আজিজ আহমদ বলেন, “সীমান্ত ফাঁকা রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়নি। দেশের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাহিনীকে সহায়তা করতে বিজিবির রিজার্ভ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। এতে সীমান্তে কোন সমস্যা হচ্ছে না।
“যারা পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে তারা সন্ত্রাসী, তারা চিহ্নিত হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় সোপর্দ না করা পর্যন্ত বিজিবি মাঠে থাকবে।”
স্থানীয় প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে বিজিবি মাঠে নেমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা যতক্ষণ চাইবেন তখন বিজিবি মাঠে থাকবে।
ক্যাম্প পরিদর্শনের সময় বিজিবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান, রাজশাহী সেক্টর কমান্ডার উপ-পরিচালক কর্নেল কে এম ফেরদাউসুল শাহাব, বগুড়ার জেলা প্রশাসক শফিকুর রেজা বিশ্বাস ও পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।