শনিবার গোপীবাগ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি বিরোধী জোট সমর্থকদের ওপর হয়রানির অভিযোগ তুলে ধরে এই আহ্বান জানান।
মামলা মাথায় নিয়ে অপ্রকাশ্যে থাকা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রীই প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
আফরোজা সাংবাদিকদের বলেন, “সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললেও এখনও সেই পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি।
আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চলছে। আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
প্রচার চালাতে শুক্রবার এক বাসায় বাসায় যাওয়ার পর সেই বাসা পুলিশ ঘেরাও করে রেখেছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা আব্বাসের স্ত্রী বলেন, “আমরা এই সব ঘটনা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছি। কমিশন এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা আশা করি, আগামী দিনগুলোতে কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ না হয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে।”
কোন কোন এলাকায় কতজনকে সরকার তুলে নিয়ে গেছে বা গ্রেপ্তার করেছে- সাংবাদিকদের এই প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আফরোজা বলেন, “পুলিশ প্রহরার নামেই আসছে, নিরাপত্তার কথা বলেই আসছে। কিন্তু যে বাড়িতে আমরা যাই, সেই বাড়ির রুমে রুমে তল্লাশি করা কিভাবে নিরাপত্তার বিষয় হয়?”
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের দাবিও জানান মেয়র প্রার্থীর স্ত্রী।
মির্জা আব্বাস প্রচারে নামবেন কি না- জানতে চাইলে আফরোজা বলেন, “আগামী মঙ্গলবার নাগাদ হাই কোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে তার জামিনের বিষয়টি সুরাহা হতে পারে। আমরা আশা করব, ওইদিন সরকার তার জামিনের ব্যবস্থা করবে। এরপর আব্বাস প্রচারণায় আসবেন।”
আব্বাস পলাতক নন দাবি করে তিনি বলেন, “আদালত তাকে প্রচারণায় অংশ না নিতে যে আদেশ দিয়েছেন, তা এখনও বলবৎ আছে।”
মির্জা আব্বাস প্রচারণায় নামতে না পারলে নির্বাচন বয়কট করবেন কি না- প্রশ্ন করা হলে আফরোজা বলেন, “আমরা এখনও আশা করি, সরকার নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে।”
সকালে গোপীবাগের ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব থেকে প্রচার শুরু করেন আফরোজা। টিকাটুলী, স্বামীবাগ, ওয়ারী, দয়াগঞ্জ, সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, নারিন্দায় দিনভর প্রচারণা চালান তিনি।