বর্ষবরণে যৌন হয়রানির নিন্দা-প্রতিবাদ অব্যাহত

বর্ষবরণের উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারীদের যৌন হয়রানির নিন্দা-প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2015, 11:58 AM
Updated : 18 April 2015, 11:58 AM

গত মঙ্গলবার ওই ঘটনার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দায়িত্বপালনকারী আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জবাবদিহি নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ‘সহস্র নাগরিক কমিটি’।

ঢাকার সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা আওয়ামী লীগ সমর্থক এই ফোরামের শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে এই জানানো হয়।

কমিটির সদস্য সচিব গোলাম কুদ্দুছ বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনীর যে সব সদস্য ওই দিন এই এলাকায় দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন, আমরা মনে করি এই ব্যর্থতার জন্য তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। না হলে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে।”

এক্ষেত্রে সরকারকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান এই সাংস্কৃতিক সংগঠক।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার সমর্থক শিক্ষক সংগঠন নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক নাজমা শাহিন বলেন, “মৌলবাদের সব আক্রমণের প্রথম ও প্রধান লক্ষবস্তুতে পরিণত হয় নারী। বর্ষবরণের অসাম্প্রদায়িক উৎসবে নারীদের অংশগ্রহণকে বিঘ্নিত করতেই এই আক্রমণ।”

সংবাদ সম্মেলনে সহস্র নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ শামসুল হক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুলও বক্তব্য রাখেন।

নিপীড়কদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি সিপিবির

পহেলা বৈশাখে নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং বিচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নারী সদস্যরা।

শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সিপিবির নারী সেলের এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এই দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্যে নারী সেলের সমন্বয়ক লক্ষ্মী চক্রবর্তী বলেন, “শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই নয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন জায়গাতেই নারীরা লাঞ্ছিত হয়েছে।

“সরকারে প্রতি আহ্বান, এসব ঘটনার জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দিন।”

কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে কলামনিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, “আমি গভীর বেদনার সঙ্গে একজন পুরুষ হিসেবে বাংলার পুরুষদের পক্ষ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার জন্য লজ্জিত এবং যে সব মেয়েরা আনন্দ করতে এসে নিপীড়িত হয়েছেন, আমি তাদের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চাই।”

মানববন্ধনে অংশ নেন ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি লুনা নূর, সিপিবির নারী সেলের নেতা মাকসুদা আক্তার লাইলী,  করবী ধর, সেলিনা হাই, হামিদা খাতুন, ফাহমিদা আজাদ ও রাশেদা কুদ্দুস প্রমুখ।