শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরানা পল্টনে আর্দশ ঢাকা আন্দোলনের নির্বাচনী কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, “একদিকে ক্ষমতাসীন দলের ১৬ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা মামলা থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী দলসমর্থিত ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী জামিন পাচ্ছেন না। এরকম হলে এটি ভয়ঙ্কর বৈষম্যমূলক আচরণ। এহেন আচরণ কোনোভাবে আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।”
গণমাধ্যমে প্রকাশিত ঢাকা দক্ষিণে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপিপন্থি পেশাজীবীদের নেতা এমাজ উদ্দিন বলেন, “সাঈদ খোকনের বক্তব্যে একটি শব্দ আমার কাছে আপত্তিকর মনে হয়েছে। তিনি (সাঈদ খোকন) বলেছেন, জান বাঁচাতে চাইলে ইলিশ মার্কায় ভোট দিন। এটা একটা হুমকি। এরকম কথা শুনতেও খারাপ লাগে।”
তিনি বলেন, “আমরা একটি উৎসবমুখর পরিবেশে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাচ্ছি। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব সেই পরিবেশ সৃষ্টি করা; নইলে ভোটাররা হতাশ হবে।”
বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মির্জা আব্বাসের পক্ষে তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস শুক্রবার বিকালে বংশালে প্রচারণাকালে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করে ঘটনার নিন্দা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সদস্য সচিব শওকত মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, “নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশকে আতঙ্কগ্রস্থ করা হচ্ছে। বিরোধী দলের প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে।
“গতকালও একজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজও ৬নং ওয়ার্ডে বিরোধী দলের সমর্থিত প্রার্থীকে লোকজন নিয়ে প্রচারণা চালাতে গেলে পুলিশ বাধা দিয়েছে। এটা কোনো সুষ্ঠু নির্বাচনের বার্তা বহন করে না।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, আবদুল হাই শিকদার, প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির এম আবদুল্লাহ, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান ও জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু উপস্থিত ছিলেন।