ভোটে ‘অনিয়ন্ত্রিত ব্যয়’ বিপদ ঘটাবে: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ‘অর্থের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার’ দেখে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2015, 01:23 PM
Updated : 17 April 2015, 06:19 PM

তিনি বলেছেন, “নির্বাচনে অনিয়ন্ত্রিত ব্যয়  হচ্ছে। এটা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভবিষ্যতের জন্য বিপদ আছে।”

শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে এ মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের।

তিনি বলেন, “অতিরিক্ত ব্যয় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে অদূর ভবিষ্যতে সৎ ও যোগ্য মানুষেরা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।”

ভোটার সংখ্যার অনুপাতে এবারের সিটি নির্বাচনে ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থীদের জন্য ৫০ লাখ টাকা এবং ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রামে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ের সীমা বেঁধে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বর্তমান নিয়মে যে পরিমাণ নির্বাচনী ব্যয়ের সুযোগ রয়েছে তাতে আদৌ ভোট করা সম্ভব কি না- সে প্রশ্ন তুলে বিভিন্ন মহল থেকে আগেও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।   

সমাজের বিভিন্ন অংশে মানুষের মধ্যে ‘বিভাজন’ তৈরি হয়েছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “রাজনীতি, আইন পেশাসহ সমাজের সবখানেই বিভক্তির দেয়াল উঠছে।”

এই বিভক্তি কাটিয়ে ‘সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ ও দারিদ্র্যের’ বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।  

সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গ

বিএনপির দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে মত বিনিময়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন না। 

“অতীতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনা মোতায়েনের দরকার হয়নি; এবারও দরকার হবে বলে মনে করি না।”

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সরকার নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা দেবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “আগের নয়টি নির্বাচনে কমিশন যেভাবে স্বাধীনভাবে নির্বাচন করেছে, এবারের তিনটিতেও সেভাবে কাজ করবে। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।” 

তিন সিটি নির্বাচনে ‘সবার জন্য সমান সুযোগ’ তৈরি হয়নি অভিযোগ করে ভোটের আগে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা এর বিরোধিতায় বিভিন্ন বক্তব্য দিয়ে আসছেন।  

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, চট্টগ্রাম সিটির গত নির্বাচনের দিন বিএনপির পক্ষ থেকে কেন্দ্র দখল ও জালিয়াতির অভিযোগ করা হলেও ফলাফল হয়েছিল উল্টো। 

দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার জন্য বিএনপিকে ‘অনেক কিছুই বলতে হচ্ছে’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন। 

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ারের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান এহসানুল হায়দার বাবুল, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন রেজা, যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ বক্তব্য দেন।