‘সীমান্তে বেড়া নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে’

সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমদ।

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিলালমনিরহাট ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 April 2015, 11:59 AM
Updated : 17 April 2015, 11:59 AM

শুক্রবার দুপুর তিনি বিজিবির লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়ন এবং সকালে কুড়িগ্রাম ৪৫ ব্যাটালিয়ন পরিদর্শন করেন।

লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়ন শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, সীমান্ত হত্যা কোনোভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। এ ব্যাপারে ভারতের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে কথা হচ্ছে। অচিরেই সীমান্ত হত্যা বন্ধ হবে।

অপরাধীকে হত্যা না করে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করার আহ্বান জানান তিনি বিএসএফের উদ্দেশে।

মেজর জেনারেল আজিজ বলেন, সীমান্তের যেসব স্থানে কাঁটাতারের বেড়া নেই সেখানেও বেড়া নির্মাণে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। পর্যাক্রমে তা নির্মাণ করবে ভারত। তবেই অনেকাংশে চোরাচালান বন্ধ হবে।

পর্যায়ক্রমে দেশের সকল সীমান্তে হাট চালু করা হবে উল্লেখ করে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তের হাটগুলো বেশ জনপ্রিয়তা অর্জনের পাশাপাশি রাজস্বও বাড়াচ্ছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবির রংপুর রিজিওন কমান্ডার মাহফুজার রহমান, রংপুর সেক্টর কমান্ডার জুলফিকার আলী, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল বজলুর রহমান হায়াতি, লালমনিরহাট পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে সকালে বিজিবি মহাপরিচালক কুড়িগ্রাম ৪৫ বিজিবি ব্যাটালিয়ন পরিদর্শন করেন।

এখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্তে ফেলানী হত্যার ঘটনাটি শুধু বাংলাদেশে নয়, “সারা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। আমরা ফেলানী হত্যার ন্যায্য বিচার চাই। আমাদের দাবির মুখে তারা পুনর্বিচার করছে। আশা করি, সবার প্রত্যাশা মতো রায় হবে।”

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজিবি কোনো রাজনৈতিক দলের হাতিয়ার হিসেবে নয়, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কাজ করা হবে না।

বিএসএফ সীমান্তে গুলির বদলে রাবার বুলেট ব্যবহারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনোভাবেই হত্যা গ্রহণযোগ্য নয়।

বিজিবি মহাপরিচালক জানান, গত বছর প্রায় সাড়ে ৬শ বাংলাদেশি সীমান্ত অতিক্রম করে নানা কাজে ভারত যান। তাদের মধ্যে  প্রায় ৫০০ জনকে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।

তবে এভাবে যাতে কেউ অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম না করে সে ব্যাপারে বিজিবি জনগণকে সচেতন করছে বলে জানান তিনি।

বিজিবির রংপুর রিজিওন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহফুজার রহামান, রংপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল জুলফিকার আলী, কুড়িগ্রাম ৪৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল জাকির হোসেন, কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এ বি এম আজাদ,  পুলিশ সুপার তবারক উল্লাহ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।