শুক্রবার মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরের মুজিবনগরে মুক্তিযোদ্ধা-জনতা সমাবেশে তারা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম প্রমুখ।
আমির হোসেন আমু বলেন, সেই পরাজিত শক্তি আজ আবার তৎপর, যারা ২১ বার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের চেষ্টা করেছে।
কিন্তু শেখ হাসিনা অত্যান্ত দৃঢতার সঙ্গে সেই অপশক্তির বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় কার্যকরসহ জামায়াতমুক্ত দেশ গড়তে বদ্ধপরিকর, বলেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “১৯৯৬ আমলের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্বরাস্ট্র মন্ত্রী হিসেবে এই অঞ্চলের মাটিতে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিয়েছিলাম যেকোনো মূল্যে দেশ থেকে সন্ত্রাসী চরমপন্থি নির্মূল করব।”
সেদিন একটা গুলি না করে, কোনো ক্রসফায়ার ছাড়াই চরমপন্থি সন্ত্রাসীরা সারেন্ডার করতে বাধ্য হয়েছিল।
এবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জঙ্গি ও যুদ্ধাপরাধীমুক্ত দেশ গড়তে জামায়াতে ইসলামীকে সারেন্ডারে বাধ্য করার অঙ্গীকার করেন তিনি।
নাসিম বরেন, খালেদা জিয়া নির্বাচন চেয়েছেন। অবশ্যই দেশে নির্বাচন হবে। তবে সেই নির্বাচন সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৯ সালে হবে। তার আগে কোনভাবেই হবে না।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুল হক হানিফ, সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন, সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, ফজলে হোসেন বাদশা, সেলিনা আক্তার বানু, মকবুল হোসেনসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতৃবৃন্দ।
এর আগে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সরকারের পক্ষে এবং দলীয়ভাবে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পরে পুলিশ, আনসার, বিজিবিসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের একটি প্যারেড দল কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে অতিথিদের সালাম প্রদান করে।
এ সময় আনসার ও ভিডিপির একটি সাংস্কৃতিক দল গণসংগীত পরিবেশন করে।