পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে এক মাসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে।
যৌন হয়রানির ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান বৃহস্পতিবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেয়।
আদালত আদেশে বলে, “বাঙালি জাতিসত্ত্বার এত বড় সম্মিলন নববর্ষ উদযাপন, যাতে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই উদযাপন করে থাকে।”
এরকম একটি অনুষ্ঠানে ‘নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা ও দায়িত্বে অবহেলার’ দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে একটি রুলও দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার, পুলিশের রমনা জোনের ডিসি ও শাহবাগ থানার ওসিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে হবে।
এ আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য ১৭ মে দিন রাখা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেইটে সংঘবদ্ধ একদল যুবক নারীদের যৌন হয়রানি করে। নারীদের ওপর হামলা ঠেকাতে গিয়ে হাত ভেঙে যায় ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি লিটন নন্দীর।
ওই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে গত দুদিন ধরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে নারী অধিকার ও ছাত্র সংগঠনগুলো। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ওই ঘটনায় দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে।
আইনজীবী আনজুমান আরা বেগম ও উম্মে সালমা সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো আদালতের নজরে আনেন।