নারী প্রার্থীদের প্রতীক পরিবর্তনে মত

সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের অনেক প্রার্থী প্রতীক নিয়ে আপত্তি তোলায় আগামীতে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মত দিয়েছেন একজন নির্বাচন কমিশনার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2015, 07:45 PM
Updated : 15 April 2015, 07:45 PM

তবে কাউকে খাটো করার জন্যে এ ধরনের প্রতীক বাছাই করা হয়নি বলে দাবি করেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।

সিটি নির্বাচনে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে প্রার্থীদের প্রতীক নিয়ে আপত্তি উঠেছে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রামে।

নারীদেরকে গৃহস্থালি প্রতীক বরাদ্দ দিয়ে নির্বাচন কমিশন তাদের ঘরেই আটকে রাখার মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

প্রতীকের বিষয়ে শাহনেওয়াজ বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রথম সব নির্বাচনের জন্য আলাদা প্রতীক নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্যে কিছু প্রতীক বাড়াতে হয়েছে।

“সংরক্ষিত পদের প্রতীক নিয়ে প্রার্থীরা আপত্তি তুলেছেন, এটা আমাদের কানেও এসছে। আসলে প্রতীক দেওয়া হয় চিহ্নিত করার জন্য, কাউকে ঘরে ঢুকানো বা খাটো করার জন্য না।

“তারপরও যদি কোনো প্রার্থী প্রতীকের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেন আমরা ভবিষ্যতে বিবেচনা করব।”

নারীদের সুবিধা দিতে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরে শাহনেওয়াজ বলেন, “এবার সংরক্ষিত প্রার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রচারণার জন্যে তারা একটি গাড়ি ব্যবহার করতে পারবেন, যেটা এর আগে পারতেন না। এছাড়া তাদের জামানত ১০ হাজার টাকায় নিয়ে এসেছি। আগে অনেক বেশি ছিল।”

আচরণবিধি লঙ্ঘনে ‘চরম ব্যবস্থা’

আচরণবিধি লঙ্ঘন করে মিছিল ও নির্ধারিত সময়ের বাইরে মাইকে প্রচারণা চালালে ‘চরম’ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রার্থীদের সতর্ক করেছেন নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ।

প্রচারণার সময় অনেকে মিছিল, জনসভা, শোভাযাত্রা এবং বেলা দুই থেকে রাত ৯টার পর বাইরে মাইক ব্যবহারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

শাহনেওয়াজ বলেন, “আচরণ বিধি অনুসারে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে মিছিল করা সম্পুর্ণ বে-আইনি। কেউ যদি মিছিল করে অথবা কোনো প্রার্থী পক্ষে তা করার চেষ্টা করে, তাদের জরিমানা করা হবে। এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে চরম ব্যবস্থা অর্থাৎ প্রার্থিতা বাতিল করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে নির্বাচন কমিশন।”

আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনের ব্যবস্থা নিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।  

২৮ এপ্রিলের ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রামের ভোটকে সামনে রেখে প্রচার চালাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। ২৬ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।