বুধবার দুপুরে উপ-উপাচার্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের সামনেই এ ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজান উদ্দিন বলেছেন, তাকে হুমকি দিতেই আওয়ামী লীগের ওই সংসদ সদস্য তার কার্যালয়ে এসেছিলেন।
উপাচার্যের দপ্তরে একটি কাজে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গোদাগাড়ী-তানোর আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক।
অধ্যাপক মিজান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দুপুরে একটি বৈঠকে ছিলেন তিনি। ওই সময় তার মোবাইল ফোনে কল করেন সংসদ সদস্য ওমর ফারুক।
“আমি বৈঠকে আছি জানিয়ে তাকে বলেছিলাম, পরে তার সঙ্গে কথা বলব। এ কথা শুনে তিনি ফোনেই উচ্চবাচ্য শুরু করেন এবং আমার অফিসে আসতে চান। ১০ মিনিটের মাথায় তিনি লোকজন নিয়ে আমার দপ্তরেও চলে আসেন।”
উপাচার্য জানান, তখন তিনি বৈঠক মুলতবি রেখে তার কার্যালয়ে ওমর ফারুকের সঙ্গে বসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনও সেখানে ছিলেন।
“সবার উপস্থিতিতেই সাংসদ খুবই খারাপ ভাষায় কথা বলতে শুরু করেন। তিনি যে ভাষায় কথা বলেছেন, তাতে আমি মনে করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে আমাকে অপমান করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ নিয়ে কথা বলতে ওমর ফারুক উপাচার্যের কাছে এসেছিলেন।
ওই মেডিকেল কলেজটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে। ওই কলেজটির সভাপতি সংসদ সদস্য ওমর ফারুক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, “সম্প্রতি কলেজের একাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ম ভঙ্গ করে ভর্তি করানো হয়। এ কারণে নিয়মমাফিক ওই কলেজকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করে রাবির কলেজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতেই উপাচার্যের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সাংসদ।”
এ বিষয়ে ওমর ফারুকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
“আমি কলেজের জরিমানা মওকুফ করার আবেদন জানাতে তার কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি কেন আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন তা আমার জানা নেই।”
ওমর ফারুক আওয়ামী লীগ সরকারের গত মেয়াদে কিছুকাল শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।