বাংলা নববর্ষ ১৪২২ উপলক্ষে বুধবার বঙ্গভবনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং তার স্ত্রী রাশিদা খানম।
এই আয়োজনে নৈশ ভোজেও সবাই একই সঙ্গে অংশ নেন, যার বড় অংশ জুড়ে ছিল বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাবার।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধান, জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং উচ্চ পদস্থ সামরিক-বেসামারিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রাশেদ খান মেনন, কামরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, হুইপ আতিউর রহমান আতিক।
শিক্ষাবিদ জামিলুর রেজা চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, লিয়াকত আলী লাকীও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে দরবার হলে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
অনুষ্ঠানে রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্র শিল্পী মিতা হক ও সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয়। নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন খায়রুল আনাম শাকিল। এছাড়া সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুবীর নন্দী, চন্দনা মজুমদার, রিংকু। সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’ কবিতা আবৃত্তি করেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
সমবেত নৃত্য পরিবেশনা করে ওয়ার্দা রিহাব ও তার দল।
বর্ষবরণের এই আয়োজনে অতিথিদের আপ্যায়ন পর্বে ইলিশ-পান্তার সঙ্গে ছিল শুটকি ভর্তা, আলু ভর্তা, বেগুন ভর্তা, সবজি, গরুর মাংস ভুনা, মুরগির মুসাল্লম, লুচি, ভাত, পোলাওসহ হরেক রকম দেশীয় খাবার। মিষ্টান্ন হিসেবে পরিবেশন করা হয় কয়েক প্রকার পিঠা, সন্দেশ, দই।