বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির চতুর্দশ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন।
সিদ্ধান্ত বিষয়ে সহকারী কমিশনার রাজীব উল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মতিঝর্ণা, বাটালি হিল ও ইস্পাহানি পাহাড়ে শিগগিরই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
“ওই তিন পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনার তালিকা কমিটির কাছে আছে। উচ্ছেদ পরিচালনার আগে কমিটির পরিদর্শন দল সেখানে যাবে। তারপর উচ্ছেদ শুরু করা হবে।”
উচ্ছেদের আগে অবৈধ বসতির বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা এবং উচ্ছেদের আগে মাইকিংয়ের সিদ্ধান্তও হয়েছে।
বর্ষায় পাহাড়ে বসতি স্থাপনকারীদের জন্য সাময়িকভাবে ব্যবহৃত আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
২০০৭ সালের ১১ জুন চট্টগ্রাম নগরীতে একযোগে একাধিক স্থানে পাহাড় ধসে মোট ১২৭ জন মারা যায়। এরপর থেকে প্রতি বছরই নগরীতে পাহাড় ও পাহাড়ের সীমানা দেয়াল ধসে প্রাণহানি ঘটেছে।
২০০৭ সালের ১১ জুন পাহাড় ধ্বসের পর সরকারের পক্ষ থেকে শক্তিশালী পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কমিটির পক্ষ থেকে পাহাড় ধসের ২৮টি কারণ ও তা প্রতিরোধে পুনর্বাসনসহ ৩৬টি সুপারিশ করেছিল, যার অধিকাংশই এখনও কাগজে কলমেই রয়েছে।
গত দুই বছর ধরে বর্ষায় কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বসতি স্থাপনকারীদের এনে কয়েকটি স্কুলের মাঠে তাঁবু করে কয়েক মাসের জন্য রাখা হচ্ছে।