‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়া আসাদুজ্জামানের পক্ষ নিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2015, 01:39 PM
Updated : 15 April 2015, 04:49 PM

বুধবার মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকনের এক মতবিনিময় সভায় ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হিসেবে কাউকে সমর্থন না দিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাশের পরীবাগ এলাকা নিয়ে গঠিত এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লাটিম প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন ছাত্রলীগের সহসম্পাদক আসাদ।    

তবে আওয়ামী লীগ এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ঠেলা গাড়ি প্রতীকের এম এ হামিদ খানকে সমর্থন দিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিএনপি সম্পৃক্ততার অভিযোগ আসাদ সমর্থকদের।

সিদ্দিকী নামজুল আলম শুরু থেকে আসাদের পক্ষে ছিলেন। দল থেকে হামিদকে সমর্থন দেওয়া হলে তিনি ফেইসবুক পাতায় স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন- ‘মহানগরীর হাইব্রীড নেতাদের কাছে হেরে গেলাম’।

আওয়ামী লীগের সমর্থন পাওয়া হামিদের প্রসঙ্গ ধরে তিনি আরেক স্ট্যাটাসে লেখেন- ‘উনি এখন আওয়ামী লীগ এর প্রার্থী, তাও আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। হায়রে রাজধানীর রঙের রাজনীতি’।

ঢাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে দলের একাধিক নেতা প্রার্থী হওয়ায় সেখানে কাউকে সমর্থন না দিয়ে ‘উন্মুক্ত’ রেখেছে আওয়ামী লীগ। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও তা চান সিদ্দিকী নাজমুল।

কার্জন হল ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য সব হল ও আবাসিক এলাকার প্রায় সবগুলো এই ২১ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে। এই ওয়ার্ডের দুই-তৃতীয়াংশ ভোটারের বাস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

আসাদ দলীয় সমর্থন না পেলেও ভোটের মাঠে রয়েছেন। দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতাদের নির্দেশ থাকলেও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও তার পক্ষে সরব।

সিদ্দিকী নাজমুল বলেন, “আমরা চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যে ওয়ার্ডে, সেই এলাকায় এমন একজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হোক, যিনি ন্যূনতম অনার্স ও মাস্টার্স পাস।

আসাদুজ্জামান আসাদ

“এখানে যাকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় নেতাদের যদি কোনো বাধ্যবাধকতা থেকেও থাকে, তাহলে আমি বলব, এই ওয়ার্ডটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক। ভোটাররা যাকে খুশি বেছে নেবে।”

এই সময় অনুষ্ঠানস্থল টিএসসি মিলনায়তনভরা ছাত্রলীগকর্মীরা তুমুল করতালিতে সাধারণ সম্পাদকের প্রস্তাব সমর্থন করেন।

মেয়র প্রার্থী ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকনের এই অনুষ্ঠানে ছিলেন কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারুজ্জামান, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার প্রমুখ।

এর আগে গত শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দক্ষিণে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর ও মেয়র প্রার্থীদের মতবিনিময় সভায় আসাদের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকর্মীরা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার চেষ্টা করেও তাদের থামাতে পারেননি।