উৎসবে মেতেছে পাহাড়

ফুল ভাসানো আর ‘গঙ্গামায়ের’ প্রার্থনার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়িতে শুরু হয়েছে ত্রিপুরা, চাকমা, মারমাসহ ১৩টি জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উৎসব বৈসাবি।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2015, 04:06 PM
Updated : 13 April 2015, 06:48 AM

চাকমা সম্প্রদায়ের ফুল বিজুর মধ্য দিয়ে রোববার শুরু হওয়া বৈসাবি উৎসব চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত।

ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই এবং চাকমাদের বিজু মিলে হয় বৈসাবি।

এ উৎসবকে ঘিরে পাহাড় এখন উৎসবে মেতেছে।

রোববার ভোরে সকলের সুখ-সমৃদ্ধি কামনা করে ‘গঙ্গামায়ের’ প্রার্থনা করেন এবং চেঙ্গী নদীতে ফুল ভাসিয়ে দেন বিভিন্ন বয়সের আদিবাসী নারী-পুরুষ।

সম্মিলিত বৈসাবি উদযাপন কমিটির আহবায়ক কিরন মারমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পরিবার পরিজনের সঙ্গে আনন্দঘন পরিবেশে বৈসাবি উৎসব পালনের জন্য তিন পার্বত্য জেলায় তিন দিনের সরকারি ছুটি ঘোষণা করা উচিত।  

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার শেখ মিজানুর রহমান জানান, বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসন তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।

বাংলা বছরের শেষ দুদিন এবং নতুন বছরের প্রথমদিন এই উৎসব পালিত হয়।

উৎসবের প্রথম দিন চাকমা সম্প্রদায়ের ফুল বিজু, দ্বিতীয় দিন মূল বিজু আর তৃতীয় দিন গয্যাপয়্যা বিজু পালিত হয়।

ত্রিপুরাদের বৈসু শুরু হবে ১৩ এপ্রিল। এ উৎসবের প্রথম পর্ব হারি বৈইসুক, দ্বিতীয় পর্ব বিসুমা এবং শেষ পর্ব বিসিকাতাল নামে পরিচিত।

মারমাদের সাংগ্রাই শুরু হবে ১৩ এপ্রিল। তবে, এ স¤প্রদায়ের লোকজন পুরনো বছরের শেষ তিন দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন ‘সাংগ্রাই’ উৎসব পালন করে।