বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বাদামিয়া এলাকায় এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আরও তিনজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে ত্রিশাল থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান।
মৃতরা হলেন- বাদামিয়া এলাকার আবুল কালামের মেয়ে নাজমা, তার বোনের মেয়ে বিথী এবং ভাইয়ের মেয়ে দিলরুবা। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম পাওয়া যায়নি।
ওসি বলেন, “খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে তাদের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।”
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সকালে ওই এলাকার আবুল কালামের পরিবারের ছয় সদস্যের জন্য পাশের একটি দোকান থেকে কিনে আনা আটা দিয়ে রুটি তৈরি করা হয়। এরপর আলুভাজির সঙ্গে ওই রুটি খেয়ে বাসার সবাই একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
পরে স্থানীয়রা তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় বলে জানান ওসি।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মনিরুজ্জামান বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই তিনজনের মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন বাকি তিনজনের অবস্থাও ‘ভাল নয়’।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আজিজুল হক বলেন, “খাবারের বিষক্রিয়া থেকে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে অনুযায়ী অসুস্থ বাকি তিনজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
ওসি জানান, যে দোকান থেকে আটা কেনা হয়েছিল, তার মালিক সাইফুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তার দোকান থেকে কিছু আটাও সংগ্রহ করা হয়েছে।