বুধবার রাতে উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের চরবাঁচামারা ও শিবচর ইউনিয়নের পূর্ব কাকৈর সরদার কান্দি এলাকায় এ দুটি ঘটে।
এর মধ্যে চরবাঁচামারা এলাকায় আরো দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল খায়ের মিঞা জানান।
নিহত শ্রমিক হিমত বালার (৪৫) গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলায় এবং অন্যজন সাত্তার মোল্যা (৭০) সরদার কান্দি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
দেশের অন্যান্য স্থানের মতো শিবগঞ্জেও বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে থেমে থেমে ঝড় ও শীলাবৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের গাছ-পালাসহ ছোট ছোট বেশ কিছু ঘর বিধ্বস্ত হয়।
এলাকাবাসী জানায়, ঝড় চলাকালীন রাত পৌনে ১০টার দিকে বজ্রপাতে চরবাঁচামারায় ইটভাটা শ্রমিক হিমত বালা মারা যান। আহত হন আরো দুই শ্রমিক।
পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে সরদারকান্দিতে রাস্তার পাশ থেকে বৃদ্ধ সাত্তারের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্বজনরা।
“জানা গেছে গত রাতে ঝড়ের আগে তিনি (সাত্তার) বাইরে গেলে আর ঘরে ফিরে আসেননি। রাতে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ঝড়ের সময় বজ্রপাতে তিনি মারা যান।”
তদন্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, নিহত শ্রমিক হিমতের লাশ তার গ্রামে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর বৃদ্ধের লাশ তার পরিবার নিয়ে গেছে।