মঙ্গলবার লন্ডনে সাউথ কেনজিংটনের কুইনসগেটে বাংলাদেশ দূতাবাসের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয় হয় বলে জানান লন্ডনে অবস্থানরত ব্লগার আরিফুর রহমান।
আরিফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ব্লগার রাজীব হায়দার, অভিজিৎ রায় এবং ওয়াশিকুরসহ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার দাবিতে এ বিক্ষোভ হয়।
“দেশের মাদ্রাসাগুলিতে জঙ্গিয়ায়ন, কোমল দরিদ্র শিশুদের নিয়ে খাবার ও তথাকথিত শিক্ষার বিনিময়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ও অপরাধে ব্যবহার করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সেখানে উপস্থিত অনেকে।”
তিনি বলেন, এছাড়াও প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের পর সরকারের উদাসীনতা এবং তদন্তে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দীর্ঘসূত্রতা জঙ্গিদের আরও উৎসাহ দিচ্ছে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল হিউমেনিস্ট অ্যান্ড ইথিকাল ইউনিয়নের সদস্য বব চার্চিল, মানবাধিকারকর্মী স্টিফেন হাওয়ার্ড, পল ডুডমেন, ইমাদ উদ্দিন হাবিব এবং এরন ডপ, নারী সংগঠক সৈয়দা নাজনীন সুলতানা শিখা, ব্লগার শান্তনু আদিব, অনন্যা দাস, কামরুল হাসান তুষার প্রমুখ।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই জনতা ধাওয়া করে জিকরুল্লাহ ও আরিফুল নামে দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধরে ফেলে। তাদের আরেক সঙ্গী এ সময় পালিয়ে যায়।
এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একই কায়দায় খুন হন মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায়। ওয়াশিকুর হত্যায় জড়িতরা ওই ঘটনায় জড়িত ছিল কি না- তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সামহোয়্যারইন ব্লগে ‘বোকা মানব’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থাকলেও ওয়াশিকুর মূলত লেখালেখি করতেন ফেইসবুকের কয়েকটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।