বুধবার বিকালে ‘ফ্লাই দুবাই’ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সরাসরি অবতরণ করে ওসমানীতে।
আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হলেও রিফুয়েলিং ব্যবস্থা না থাকায় এতদিন এখানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সরাসরি ওঠানামা করতে পারত না।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমেদ জানান, বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে ১৩২ জন যাত্রী নিয়ে দুবাই থেকে ওসমানী বিমাবন্দরে অবতরণ করে ‘ফ্লাই দুবাই’ এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানটি।
পরে বিমাবন্দরে নবনির্মিত রিফুয়েলিং স্টেশন থেকে জ্বালানি সংগ্রহ করে সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে বোয়িংটি ১৬৩ জন যাত্রী নিয়ে ফের দুবাইয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
রিফুয়েলিং ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ওসমানীতে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সের আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সরাসরি ওঠানামায় আর বাধা নেই বলে জানান তিনি।
হাফিজ আহমেদ জানান, এখন থেকে ফ্লাই ডুবাই সিলেট থেকে সপ্তাহে পাঁচটি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
এছাড়া এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইন্স সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট চালুর কথা ভাবছে বলে জানান তিনি।
হাফিজ আহমেদ আরও জানান, এতদিন নামেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছিল ওসমানী। ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার পর চালু হয় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট। কিন্তু রিফুয়েলিং ব্যবস্থা না থাকায় বন্ধ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট কার্যক্রম।
২০১০ সালে ৫৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ওসমানী বিমানবন্দরে রিফুয়েলিং স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পদ্মা অয়েল কোম্পানীর করা এ কাজটি সম্প্রতি শেষ হয় বলে জানান তিনি।
পদ্মা অয়েল কোম্পানীর বিমানবন্দর রিফুয়েলিং স্টেশনের সহকারী ব্যবস্থাপক সরদার মোহাম্মদ আলম জানান, গত ২৪ মার্চ থেকে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নবনির্মিত রি-ফুয়েলিং স্টেশন থেকে ট্র্যাংকলরির মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে রিফুয়েলিং শুরু হয়।
তবে এখনও পাইলাইন বসানোর কাজ বাকি রয়েছে। আগামী দেড় মাসের মধ্যে পাইপলাইনের মাধ্যমে বিমানগুলোতে রিফুয়েলিং সম্ভব বলে জানান রিফুয়েলিং স্টেশনের এই কর্মকর্তা।