ফেনী কারাগারের জেলার শংকর মজুমদার জানান, জামিনের আদেশের কপি কারাগারে এলে আবদুল কাইয়ুম ও জসিম উদ্দিন নয়ন নামে ওই দুই আসামিকে কারাগার থেকে বুধবার বিকালে মুক্তি দেওয়া হয়।
গত ৩০ মার্চ বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও আমির হোসাইনের হাই কোর্ট বেঞ্চ থেকে তারা ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান।
ওই জামিন আদেশের কপি বুধবার দুপুরে ফেনীর মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মোফিজুর রহমান ভূঞার আদালতে উপস্থাপন করলে আদালত যাচাই বাছাই করে জামিনের আদেশটি কারাগারে পাঠায়।
এ নিয়ে এ মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতাসহ চারজন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ছাড়া পেলেন বলে জানান জেলার শংকর মজুমদার।
গত বছরের ২০ মে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকার বিলাসী সিনেমা হলের সামনে ফুলগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হককে প্রকাশ্যে গুলি করে, কুপিয়ে ও গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
নিহতের ভাই রেজাউল হক জসিম বাদী হয়ে বিএনপি নেতা মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনারের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৩০/৩৫ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত বছরের ২৮ অগাস্ট ৫৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর ১২ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করা হয়।
এ মামলায় পুলিশ ও র্যাব ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করে, যাদের মধ্যে ১৬ জন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পলাতক রয়েছেন আরও ২৩ আসামি।
এ মামলায় মাহাতাব উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী মিনারকে উচ্চ আদালত জামিন দিলেও গত ১২ মার্চ প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চ আদেশটি ৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে।