বুধবার নিজের দপ্তরে ‘মৎস্য ও চিংড়ি সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির’ তৃতীয় সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণের পর দেশের বাজারে বিক্রি ও বিদেশেও রপ্তানি করতে হবে।”
দেশের মানুষ যাতে চাহিদা অনুযায়ী মাছ খেতে পারে সেজন্য মাছের উৎপাদন বাড়ানোর ওপরও গুরুত্ব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মাছ চাষ ও এর সংশ্লিষ্ট কাজে দক্ষ জনবল ও অবকাঠামো তৈরির ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ফ্রান্সের ব্যবসায়ীদের আরো বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বলে তার প্রেস সচিব জানান।
ফ্রান্সের কয়েকটি কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী বলে রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরাসী শিল্প-সাহিত্যিক ও চিন্তুকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বাঙালির পাশে দাঁড়ানোর কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে ফ্রান্সের সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরো বিস্তৃত হওয়ার আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
এসময় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্সের কাজ করার কথাও তুলে ধরেন তিনি।