তফসিল স্থগিতে হাই কোর্টে আবেদন

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের দাবিতে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছেন এক আইনজীবী, যিনি মনোনয়নপত্র কিনতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 April 2015, 09:39 AM
Updated : 1 April 2015, 09:39 AM

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ বুধবার এই রিট আবেদন আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “শুনানির জন্য হাই কোর্টের একটি বেঞ্চে এই আবেদন তোলা হবে।”

এর আগেও বিভিন্ন বিষয়ে রিট আবেদন করে আলোচিত-সমালোচিত হওয়া ইউনুস তার আবেদনে স্থানীয় সরকার আইন (সংশোধন) ২০১১, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিধির ১৩ দফা, এবং দুই সিটি করপোরেশনের তফসিল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে রুল চেয়েছেন আদালতের কাছে।

সেই সঙ্গে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের তফসিলের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছেন তিনি।

২৮ এপ্রিল ভোটের দিন রেখে ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটির জন্য যে তফসিল নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে সে অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা নিয়ে এখন বাছাই চলছে। তফসিলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য ৯ মার্চ দিন রাখা হয়েছে।  

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিধির ১৩ দফায় ১ লাখ টাকা জামানত ও ভোটার তালিকা কেনার বাধ্যবাধকতা নিয়ে আপত্তি তুলে ইউনুস আলী তার আবেদনে বলেছেন, ওই বিধির কারণে এ নির্বাচন ‘সার্বজনীনতা হরাচ্ছে’। তার ভাষায়, নির্বাচন করতে গেলে এখন লাখপতি হতে হয়।

ইউনুস আলী বলছেন, ২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার আইনে ঢাকায় একটি সিটি করপোরেশনের কথা বলা ছিল। ২০১১ সালে আইন সংশোধন করে দুটি সিটি করপোরেশন করা হলেও আইনের একটি অংশে একটির কথাই বলা রয়েছে। 

এ কারণে আইন ও বিধি অবৈধ ঘোষণার পাশাপাশি ওই আইনে ঘোষিত তফসিল বাতিলের আবেদন করেছেন এই আইনজীবী।

আইন সচিব, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও দুই রিটার্নিং কর্মকর্তাকে এই রিট আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে।

ইউনুস তার আবেদনে লিখেছেন, গত ২৫ ও ২৯ মার্চ তিনি দুই দফা ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদের মনোনয়পত্র কিনতে যান। কিন্তু ভোটার তালিকার জন্য ব্যাংক চালানের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৫০০ টাকা জমা দেওয়ার রশিদ দেখাতে না পারায় তাকে মনোনায়ন ফরম দেওয়া হয়নি।