সোমবার ফিতা কেটে ‘সুবীর অ্যান্ড মালিনী চৌধুরী সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের’ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চ্যান্সেলর নিকোলাস ডার্কস।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় ২০১৩ সালে সেন্টারটি প্রতিষ্ঠিত হলেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও উপকরণের অভাবে এর কার্যক্রম শুরুতে বিলম্ব হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কলে ক্যাম্পাসে সাউথ এশিয়া স্টাডিজ ইনস্টিটিউটে স্থাপিত এই সেন্টারটি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক গবেষণায় সহায়তা দেবে বলে ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে।
এছাড়া গবেষণা-বিনিময় প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পর্ক জোরদার করতেও কাজ করবে এই সেন্টার।
লস এঞ্জেলেসে বসবাসরত উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুবীর চৌধুরী সেন্টারটি প্রতিষ্ঠায় তহবিল সংগ্রহের একটি বার্তা ফেইসবুকে পেয়ে তাতে সাড়া দিলে এটি প্রতিষ্ঠায় গতি আসে।
সুবীর চৌধুরীর মিলিয়ন ডলারের সহায়তায় সেন্টারটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তার এবং তার স্ত্রী মালিনী চৌধুরীর নামেই এর নামকরণ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ।
বাংলাদেশ স্টাডিজ সেন্টারের সঙ্গে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগী হিসাবে কাজ করবে, সেগুলোর মধ্যে ব্র্যাক অন্যতম।
অনুষ্ঠানে সুবীর চৌধুরী বলেন, “এখানে অধিকাংশ কাজই হবে হাতেকলমে, যা বেশ জটিল। আমি আশা করি, এই সেন্টার বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।”
সেন্টারটির পরিচালক হিসাবে রয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ড. সঞ্চিতা বি সাক্সেনা।