মঙ্গলবার লাঙ্গলবন্দের বিভিন্ন ঘাট, রাস্তা ও মন্দির পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি জানান।
গত শুক্রবার অষ্টমী স্নানোৎসবে পদদলিত হয়ে ১০ পুণ্যার্থীর নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের একদল আইনজীবী।
লাঙ্গলবন্দে পৌঁছে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন তারা।
পরিদর্শন শেষে ড. কামাল বলেন, আগামী অষ্টমী স্নানোৎসবের আগে লাঙ্গলবন্দের যেসব জমি জবর দখল হয়েছে সেগুলোকে দখলমুক্ত, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ১৬টি ঘাট সংস্কার ও বহ্মপুত্র নদ খননের ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে।
তিনি বলেন, “আমরা এখানে সরকারকে দোষ দিতে আসিনি।”
আগামীতে যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে স্নানোৎসব শেষ করা যায়, সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
১৯০১ সালে স্বামী বিবেকানন্দ লাঙ্গলবন্দে স্নান করার পর এর প্রসার বৃদ্ধি পেতে থাকে উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, প্রতিবছরই এখানে দেশ-বিদেশের অনেক পুন্যার্থী আসে। তাই ঐতিহ্যবাহী এ স্থানটিকে ঐক্যবদ্ধভাবেই রক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রাণহানির ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির উদ্দেশে তিনি বলেন, সেদিন কী ঘটেছিল, কেন ঘটেছিল তা সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে হবে।
স্থানীয়দের উদ্দেশে তিনি বলেন, লাঙ্গলবন্দ আপনাদের গর্ব। এজন্য এটিকে রক্ষায় সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে।
এ সময় ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সহসভাপতি জগলুল হায়দায় আফ্রিদী, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন খান, অ্যাডভোকেট নুরুল কবীর, অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান, অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মাসুম, অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট এবি সিদ্দিকী প্রমুখ।