জিকরুল্লাহকে ‘চেনে না’ হাটহাজারী মাদ্রাসা

ওয়াশিকুর রহমানের হত্যাকাণ্ডস্থল থেকে গ্রেপ্তার জিকরুল্লাহ নিজেকে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র বলে পরিচয় দিলেও তা নাকচ করেছে হেফাজত নেতা শাহ আহমদ শফী পরিচালিত এই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2015, 03:12 PM
Updated : 31 March 2015, 03:25 PM

ঢাকায় গ্রেপ্তার জিকরুল্লাহকে নিয়ে পুলিশের তথ্য চাওয়ার পর মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলেছে, এই নামে তাদের কোনো ছাত্র নেই।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “৬৫০৬ ও ৬৫০৭ নম্বর ভর্তি ফরম নেওয়া জিকরুল্লাহ ওরফে জিকির হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র কি না, তা সোমবার হাটহাজারী মডেল থানা থেকে জানতে চাওয়া হলে মাদ্রাসার শিক্ষা বিভাগীয় কর্মকর্তা মাওলানা মুফতি রাশেদকে অনুসন্ধান নিতে বলা হয়।

“আমরা ছাত্র ভর্তি রেজিস্টার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য অনুসন্ধান করে উল্লিখিত ভর্তি ফরম নম্বরে ওই নামের কোনো ছাত্র খুঁজে পাইনি।”

দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার পরিচালক আহমদ শফীর প্রেসসচিব মাওলানা মুনীর আহমদ এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি পাঠান।

শতবর্ষী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসাটি হাটহাজারী মাদ্রাসা নামে সারাদেশে পরিচিত। এই কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর সংখ্যা এখন ৭ হাজার।

হেফাজতে আমির পরিচালিত মাদ্রাসার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, “নিহত ব্লগার হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত সন্দেহে যে দুজনের ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে, তাদের কেউ হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র বলেও সনাক্ত করতে পারছি না।”

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ওয়াশিকুরকে সোমবার সকালে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের বেগুনবাড়িতে তার বাসার কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের পরপরই জনতা ধাওয়া করে জিকরুল্লাহ এবং আরিফুল নামে আরেকজকে ধরে ফেলে।

তখন জিকরুল্লাহ পুলিশকে বলেন, তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র। আরিফুল মিরপুরের দারুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্র বলে পরিচয় দেয়।

রাতে ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন মাসুদ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যাতে জিকরুল্লাহ ও আরিফুলের সঙ্গে তাহের ও মাসুম নামে দুজনকে আসামি করা হয়।