তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী তোফায়েল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ইউএনও জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর কবিরসহ প্রশাসনের লোকজন তাদের বাড়ি নিয়ে যান।
এর আগে তালতলী থানার ওসি বাবুল আকতারের দায়িত্বে ছয়টি ঘর নির্মাণ করা হয়।
বাড়ি ফেরানোর পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তার জন্য সেখানে পাঁচ সদস্যের একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প করা হয়েছে।
ইউএনও জানান, সোমবার রাতে বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়া ওই হিন্দু পরিবারগুলোকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে প্রশাসন।
সভায় বরগুনার জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক জাহাঙ্গীর কবিরসহ জেলার সুধী সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও জানান, ফিরে আসা নয়টি পরিবারকে ৬ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে মোট ৫৪ হাজার টাকা। ঘর নির্মাণে দেওয়া হয়েছে আরও ২ বান্ডিল করে ঢেউটিন।
এছাড়া তাদের জন্য নয়টি স্যানিটারি লেট্রিন নির্মান করা হচ্ছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে গভীর নলকূপ বসানো হবে।
জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে একটি সেমিপাকা মন্দির নির্মাণসহ বাদ্যযন্ত্র দেওয়ারও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে ইউএনও জানান।
দুপুরে ওই বাড়িতে খিচুড়ি রান্না হয়েছে। গ্রামবাসী, জেলা প্রশাসকসহ সবাই মিলে খিচুড়ি খেয়েছেন, কোলাকুলি করেছেন।
তাদের বাড়ি ফেরার উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে কমিউনিটি পুলিশের উদ্যোগে একটি মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।
সভায় জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়, হিন্দুদের যারা উচ্ছেদ করেছিল, তাদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।