গ্রেপ্তারে ইসির অনুমতি লাগবে না

নির্বাচনের সময় প্রার্থীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ বিএনপি নেতারা চাইলেও এ ক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী কিছু করার নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2015, 11:16 AM
Updated : 31 March 2015, 01:49 PM

“কাউকে গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অনুমতির দরকার রয়েছে বলে আমাদের জানা নেই,” মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি।

সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে আসন্ন সিটি নির্বাচনে অংশ নিতে এগিয়ে আসা বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার-হয়রানি না করার আহ্বান জানিয়ে কয়েকদিন আগে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেন বিরোধী জোটের একদল পরামর্শক। 

এরপর ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের কেউ মামলায় আদালত থেকে জামিন না নিলে পুলিশ আসামি হিসেবে তাদের ছাড় দেবে না।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী বিএনপি-জামায়াত জোটের নেতাদের অনেকের নামেই নাশকতার মামলা রয়েছে।

এই প্রার্থীদের অনেকে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় নিজেরা উপস্থিত হননি। মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও প্রশাসনিক ‘হয়রানিতে’ নির্বিঘ্নে প্রচার চালাতে পারবেন না বলেও তাদের আশঙ্কা।

ঢাকা ও চট্টগ্রামের তিন সিটি করপোরেশনে মনোনয়নপত্র দাখিলকারী ৬০ মেয়র প্রার্থীসহ ১৮৩৩ জনের অনেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা থাকার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজেরও জানা।

মামলা ও সাজাপ্রাপ্ত প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়ে আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

প্রার্থীদের কাউকে গ্রেপ্তারে ইসির অনুমতি লাগবে কি না- জানতে চাইলে শাহনেওয়াজ বলেন, “আইনে স্পষ্ট রয়েছে, কী করতে হবে; কাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করতে হবে, প্রচলিত আইনে যেভাবে রয়েছে, সেভাবে হবে।

“আমাদের জানামতে, আমাদের কনসেন্ট নিয়ে আইনের ব্যক্তিকে [প্রশাসন, পুলিশ ইত্যাদি] অ্যারেস্ট করতে হবে, এ ধরনের কথা আচরণবিধি ও আইনে লেখা রয়েছে বলে জানা নেই।”

আর কারও মনোনয়নপত্র নেওয়া হবে না

ঢাকা সিটি করপোরেশনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময়সীমা পার হওয়ার পর আর কোনো ধরনের আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই বলে জানান নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজ।

দক্ষিণ সিটিতে রোববার বেলা ৫টার পরে ২০-২৫ জন আগ্রহীর মনোনয়নপত্র নেওয়া হয়নি বলে ইসিতে অভিযোগ করা হয়। ওই দিন সময় শেষ হওয়ার পর রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ তাদের মনোনয়নপত্র জমা নেননি।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, “রিটার্নিং কর্মকর্তা সঠিক কাজ করেছেন। ৫টার পর মনোনয়নপত্র নেওয়ার সুযোগ নেই। আমরাও বিবেচনা করে দেখেছি, এ আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই।”

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করেন তিনি।

“বিধি ভাঙলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে যেই হোক, বিধি লঙ্ঘনকারীকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”