আগ্রাবাদ সিডিএ ২৭ নম্বর সড়কে ‘রে’ নামের ওই কেন্দ্র ‘সিলগালা’ করে দেওয়ার পাশাপাশি এর পরিচালক মো. শহীদুজ্জামানকে একবছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ ইমতিয়াজের নেতৃত্বে মঙ্গলবার ওই কেন্দ্রে অভিযান চালান মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
অধিদপ্তরের মেট্রো উপ-অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক চৌধুরী ইমরুল হাসান জানান, অভিযানের সময় নিরাময় কেন্দ্রের কর্মকর্তারা অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন দেখাতে পারেননি।
অভিযানের সময় নিরাময় কেন্দ্রটির দুটি ছোট কক্ষে গাদাগাদি করে থাকা সাতজন মাদকাসক্তকে পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
“সেখানে চিকিৎসক বা প্রশিক্ষিত লোকজন পাওয়া যায়নি। বরং রোগীদের নির্যাতন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে।”
চিকিৎসা নিতে আসা আসক্তদের অনুমোদিত অন্য একটি নিরাময় কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানান ইমরুল।
চট্টগ্রাম নগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অনুমোদিত মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র আছে নয়টি।
এগুলো হল- হালিশহর মধ্য রামপুরার ‘তরী’, পশ্চিম রামপুরার ‘ছায়ানীড়’, বৌবাজারের ‘সুন্দর জীবন’, হাউজিং এস্টেট এলাকার ‘অংকুর’, সবুজবাগের ‘নয়ন’, দক্ষিণ খুলশীর ‘দীপ’, কাতালগঞ্জের ‘আর্ক’, চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ‘প্রশান্তি’ ও আগ্রাবাদ সিডিএতে ‘সময়’।
চট্টগ্রামের মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রগুলোয় নির্যাতনে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগের পাশাপাশি কয়েকটি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মাদক বিক্রির অভিযোগও উঠেছে।
রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষ ‘ছায়ানীড়’ ও ‘সময়’ নামের দুটি কেন্দ্র এর আগে বন্ধ করে দেয়।