হাসপাতালের ফটক, নিচতলার বারান্দা আর গাছের নিচে গরমের মধ্যে শিশুদের নিয়ে বসে ছিলেন বাবা-মায়েরা। বেশিরভাগ শিশুর হাতে দেখা গেল কেনুলা। কেউ কেউ হাঁপাচ্ছে, কেউ কেউ নেতিয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার সকালে চন্দ্রা এলাকায় এ দুর্ঘটনার পর ওই বাসে ভাংচুর চালিয়ে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
কালিয়াকৈর থানার ওসি মো. ওমর ফারুক জানান, নিহত সানোয়ার হোসেন রানার (৩০) বাড়ি টাঙ্গাইলের তালটিয়া গ্রামে। তিনি চন্দ্রায় ‘ওয়ালটন মাইক্রোটেক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড’ কারখানার ‘টিভি টেকনিশিয়ান’ ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৮টার দিকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নবীনগর-কালিয়াকৈর সড়কে রাস্তা পার হতে গিয়ে ঢাকাগামী তিতাস পরিবহনের একটি বাসের নিচে চাপা পড়েন রানা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
কালিয়াকৈর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার অপূর্ব বল জানান, ফায়ার সার্ভিসে কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা বাসের আগুন নিভিয়ে ফেলে। এতে কেউ আহ হননি। তবে বাসের কয়েকটি আসন পুড়ে গেছে।
দুর্ঘটনার পর বাস চালক পালিয়ে গেছেন বলে ওসি জানিয়েছেন।