সোমবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার ‘যুব সংগঠন (নিবন্ধন এবং পরিচালনা) বিল-২০১৫’ সংসদে পাসের প্রস্তাবের পর তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলে মিথ্যা তথ্য, ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলীয় স্বার্থে যুব সংগঠন বা তার অর্থ ও সম্পদ ব্যবহারের প্রমাণ মিললে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
একই সঙ্গে সংগঠন বিলুপ্তির বিধানও রয়েছে।
গত ৩ মার্চ বিলটি সংসদে উত্থাপন করে প্রতিমন্ত্রী। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এই আইনের মাধ্যমে যুব কার্যক্রমের সংজ্ঞা ও পরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সংগঠনের কার্যক্রমে শৃঙ্খলা বিধান করবে। পাশাপাশি মিথ্যা তথ্যের উপর কোনো যুব সংগঠন প্রতিষ্ঠিত/তালিকাভুক্ত হলে বা রাষ্ট্র বা জনস্বার্থ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে প্রস্তাবিত আইনে সংগঠন বিলুপ্ত করাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।”
প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, তথ্য দিয়ে কোনো যুব সংগঠন নিবন্ধিত হয়েছে বলে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রমাণ থাকলে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে।
কোনো যুব সংগঠন এই আইনের পরিপন্থী কার্যক্রম পরিচালনা এবং রাষ্ট্র ও জনস্বার্থের পরিপন্থী কার্যক্রম পরিচালনা করলে নিবন্ধন বাতিল করার বিধানও রাখা হয়েছে।
এছাড়া নিবন্ধন ছাড়া সংগঠন পরিচালনা করলে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে প্রস্তাবিত বিলে।
বর্তমানে সারাদেশে তালিকাভুক্ত যুব সংগঠনের সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি।