চট্টগ্রামে মনজুর-নাছির-সোলায়মানকে নোটিস

বিধিমালা না মেনে প্রচার চালানোয় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদের তিন প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2015, 01:52 PM
Updated : 30 March 2015, 02:36 PM

এই তিন প্রার্থী হলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিএনপি সমর্থিত এম মনজুর আলম এবং জাতীয় পার্টি সমর্থিত সোলায়মান আলম শেঠ।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আচরণ বিধি না মেনে ভোট গ্রহণের ২১ দিন আগেই প্রচারণা চালনোয় তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

পরস্পরের বিরুদ্ধে বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়ে আসা তিন মেয়র প্রার্থীকেই সাত দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তাদের নিজ নিজ আচরণের ব্যাখ্যা দিতে হবে।

বিদায়ী মেয়র মনজুরকে রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে তার নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনের ব্যাখ্যা দিতে হবে।

গত ২৬ মার্চ বিকালে চট্টগ্রাম বিএনপির পক্ষ থেকে মনজুরকে সমর্থন দেওয়ার পরই রাতে নগরীর দেওয়ানহাটে তার নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন, তিনি মনজুরের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির প্রধান।

গত শনিবার প্রতিদ্বন্দ্বী আ জ ম নাছিরের নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল।

কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে সভা করা, প্রচার চালানো এবং নগরীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার থাকার ব্যাখ্যা দিতে হবে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাছিরকে।

গত ২৪ মার্চ নগরীর এস এস খালেদ সড়কের একটি কমিউনিটি সেন্টারে নাছিরের সমর্থনে যৌথ বর্ধিত সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।

ওই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ নাছিরের পক্ষে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দেন এবং ভোট চান।

গত রোববার মনজুরের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে আবদুল্লাহ আল নোমান এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ এলাকা, বন্দর, বিবিরহাট ও দেওয়ানহাট এলাকায় আ জ ম নাছিরের নামে পোস্টার রয়েছে।

“নির্ধারিত সময়ের পর এসব পোস্টার তোলা হয়নি। এছাড়া তার পক্ষে কমিউনিটি সেন্টার ভাড়া করে প্রচারণা চালানো হয়েছে। সেখানে রাজনৈতিক নেতারা প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন।”  

জাতীয় পার্টির নেতা সোলায়মান শেঠকে নির্ধারিত ২১ দিনের আগে নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনের ব্যাখ্যা দিতে হবে।

এই তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের আগে ৮ এপ্রিল থেকে প্রচার চালানো যাবে বলে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম সোমবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতেন সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা এতদিন বলেছেন, আমরা চুপ করে আছি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পরই প্রার্থীরা আমাদের আওতায়। এখন আইন অনুসারে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের কয়েকজন প্রার্থীকেও নোটিস দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।

২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে চট্টগ্রামে মেয়র পদে ১৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৮৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭১ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।