প্রতীক ছাড়াই দুই দিন প্রচারের সুযোগ

ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা দুই দিন প্রতীক ছাড়া ভোট চাওয়ার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2015, 01:24 PM
Updated : 30 March 2015, 01:34 PM

মনোনয়নপত্র জমা শেষ হওয়ার পরদিন সোমবার ইসি সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই তথ্য জানান।

তিন সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ এপ্রিল। ইসি সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৭ এপ্রিল থেকে প্রচার চালানো যাবে। 

ভোটের প্রচার শুরুর সময় নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হওয়ায় এই বিষয়টি স্পষ্ট করতে ইসি সচিবকে বলেন সাংবাদিকরা।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, আচরণবিধি অনুযায়ী ভোটের ২১ দিন আগে প্রচারণা চালানো যাবে না।

“হিসাব করলে হয়ত ৮ এপ্রিল থেকে প্রচারণা করা যাবে। তবে প্রতীক পাবে ১০ এপ্রিল। দুই দিন তারা প্রতীক ছাড়া প্রচারণা করতে পারবেন।”

প্রতীক বরাদ্দের দুই দিন আগে প্রতীক ছাড়াই প্রচারণা করতে পারবেন না, এ ধরনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হবে না বলেও জানান ইসি সচিব।

রোববার রাতে ইসি সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, তিন সিটি নির্বাচনে ৭ এপ্রিলের আগে প্রার্থীরা কোনো ধরনের প্রচার চালাতে পারবেন না।

আগামী ২৮ এপ্রিল রাজধানী ও বন্দর নগরীতে মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। দাখিল হওয়া মনোনয়নপত্র ১ ও ২ এপ্রিল যাচাই-বাছাই হবে। ৯ এপ্রিল পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে।

তিন সিটিতে ১ হাজার ৮৩৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ৯ এপ্রিল প্রত্যাহারের সময় শেষ হওয়ার পরদিন ১০ এপ্রিল চূড়ান্ত তালিকা করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

প্রতীক নিয়ে পথসভা ও ঘরোয়া সভার পাশাপাশি পোস্টার লাগানো যায়। তিন সিটিতে এবার ১৭ দিন এভাবে প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা।

চট্টগ্রামে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ভিড়

২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক না পাওয়া পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা না চালানোর পরামর্শ দিয়েছিল তৎকালীন নির্বাচন কমিশন। ওই নির্বাচনে প্রতীক নিয়ে ১৫ দিন প্রচারের সুযোগ পেয়েছিলেন প্রার্থীরা।

ওই সময় তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক প্রচারকাজ চালাতে পারবেন না। এ সময় তারা ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইতে পারেন। নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার পর প্রার্থীরা পথসভা ও ঘরোয়া সভা করতে পারবেন।

আচরণবিধি অনুযায়ী, ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী ৩২ ঘণ্টা, ভোটের দিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১২টা এবং রাত ১২টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা মিছিল, জনসভা, শোভাযাত্রা নির্বাচনী এলাকায় নিষিদ্ধ।

আইন ও বিধির ক্ষেত্রে কঠোর থাকার হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসি সচিব বলেন, কোনো প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে পার পাবেন না।  

তিনি জানান, সম্ভাব্য প্রার্থীরা আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন কি না, তা নজরে আনতে তিন সিটিতে মোট ১৮টি মোবাইল কোর্ট কাজ করবে।